• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
কাপ্তাই হ্রদ খননে পরিকল্পনা নেওয়া হবে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা                    রাঙামাটির বিএফডিসির বেহাল অবস্থায় দেখে হতাশা প্রকাশ মৎস্য উপদেষ্টার                    জুরাছড়ির ধামাইপাড়া বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন                    কাউখালীতে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটি চাপায় নিহত ১: আহত ১                    ইইউ’র অর্থায়নে বিলাইছড়িতে নগদ অর্থ সহায়তা পেল ১৭৯ পরিবার                    ৮৬ দিন পর ভেসে উঠল রাঙামাটির পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু                    রাঙামাটিতে প্রধান শিক্ষককের বিদায় সংবর্ধনা ও শিক্ষক সম্মাননা প্রদান                    রাঙামাটিতে বিরল প্রজাতির গোপালী বুনো হাতি শাবকের মৃত্যু                    চাকমা ও মারমা ভাষার পাঠ্যপুস্তকে নিজস্ব লিপিতেই প্রকাশের দাবি ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের                    বিলাইছড়ি বহুতল ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু                    রাঙামাটিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ                    জুরাছড়ি বরকলক শান্তিদান বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত                    রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য দুমদুম্যায় কমিউনিটি ক্লিনিক পরির্দশন                    খাগড়াছড়িতে বাস উল্টে নিহত ২, আহত ১০                    রাঙামাটিতে এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় এক শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা                    বিশ্ব খাদ্য দিবসে বিলাইছড়িতে হিল ফ্লাওয়ারের আলোচনা সভা                    পরিবেশ রক্ষায় বরকলে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের ৭২০০ গাছ রোপণ                    বরকলে ছোট হরিণা জোনের উদ্যোগে সহায়তা প্রদান                    হিজাছড়ি আর্যরত্ন বন বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত                    ধর্ম্মোদয় বৌদ্ধ বিহারে ৪০তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত                    জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করারসহ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবী                    
 
ads

দীঘিনালায় মঞ্চায়িত হল বিলুপ্তপ্রায় যাত্রাপালা ‘মুক্তি’র সংগ্রাম: হাজারো মানুষের বিনিদ্র উচ্ছাস

খাগড়াছড়ি প্রতিবেদক : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 12 Nov 2014   Wednesday

প্রত্যন্ত পাহাড়ী জনপদ ‘বানছড়া’ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রয়াত সংসদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র ৩১-তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে সোমবার অন্যসব কর্মসূচীর সাথে রাতভর আয়োজন করে, বিনয় কৃষ্ণ মুখোপাধায় রচিত ‘মুক্তির সংগ্রাম’ যাত্রাপালার মঞ্চায়ণ।রাত ১০টা থেকে যাত্রাপালা শুরু হবার কথা থাকলেও সন্ধ্যা থেকেই আশে-পাশের গ্রাম থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু’র সমাগমে ভরে যায় পুরো স্কুলমাঠ। রাতভর ওই মাঠেই হাজারো মানুষ প্রকাশ করেন, বিনিদ্র উচ্ছাস।পাহাড়ে কয়েক দশক আগেও বিভিন্ন উপলক্ষ্যে নাটক, যাত্রাপালা এবং কীর্ত্তনের রেয়াজ থাকলেও এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। সেক্ষেত্রে যাত্রাপালা’র মঞ্চায়ন তো নেই বললেই চলে। কিন্তু এই বিলুপ্ত যাত্রাপালা মঞ্চায়নের মাধ্যমে গত সোমবার কয়েক হাজার মানুষকে বিনিদ্র বিনোদন দিয়েছে, দীঘিনালা নাট্য গোষ্ঠি।নাটকের নির্দেশক কালেন্দ্র লাল চাকমা বলেন, বেশ প্রাচীন এই যাত্রাপালায় মুলতঃ স¤্রাট অশোকের সময়কালে ভারতবর্ষে মহামতি গৌতম বুদ্ধের অহিংস বাণী প্রচার এবং সেই পথে ঘোর ব্রাম্মণ্যবাদের আরোপিত বাধা অতিক্রমণের কাহিনীই প্রতিফলিত হয়েছে।দীঘিনালা নাট্য গোষ্ঠি’র উপদেষ্টা আনন্দ মোহন চাকমা বলেন, ‘মুক্তির সংগ্রাম’ যাত্রাপালায় যন্ত্রশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, কোরিওগ্রাফার, মেক-আপ থেকে শুরু করে নির্দেশনা পরিচালনা সবই করেছেন, দীঘিনালা নাট্য গোষ্ঠির সদস্যরাই।তিনি দাবী করেন, সীমিত সামর্থ্যে দীর্ঘদিন ধরে নাটক মঞ্চায়নের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এগোতে চান পাহাড়ে বিশুদ্ধ সংস্কৃতির সোপানে।সরেজমিনে দেখা গেছে, যাত্রাপালাটিতে ৬ বছরের শিশু থেকে প্রবীন নারী-পুরুষ মিলে ৪৫ জন স্থানীয় কলাকুশলী নিজেদের সাধ্যমতো অভিনয়শৈলী প্রদর্শন করেন। কিন্তু অভিনয়ের আনন্দ-বেদনাপূর্ণ মুর্হুতগুলোতে দর্শকদের উচ্ছসিত শোরগোল পুরো মাঠকেই কাঁপিয়ে তোলে।অভিনয়শিল্পী হীরা চাকমা (১২) এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাক্যমুনি চাকমা নিজেদের অভিনয় নিয়ে বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণ কিংবা পৃষ্ঠপোষকতা নেই মোটেই। মুলতঃ নিজেদের মনের খোরাক এবং নতুন প্রজন্মকে বিশুদ্ধ সংস্কৃতির প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেই এই আয়োজন। যা প্রয়াত মহাপুরুষ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (এম. এন. লারমা) তাঁর জীবদ্দশায় কর্মে ও জ্ঞানের মাধ্যমে দেখিয়ে গেছেন।দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ ভাইস্-চেয়ারম্যান সুসময় চাকমা ‘মুক্তির সংগ্রাম’ যাত্রাপালা শুরু’র আগে দর্শক এবং ১০ নভেম্বরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বলেন, একটি যাত্রাপালা’র মাধ্যমে চাকমা সমাজে সুস্থ বিনোদন ধারাকে টিকিয়ে রাখা এবং দেশ-সমাজ ও ধর্মীয় চেতনাকে শাণিত করার জন্যই এই আয়োজন। সরকারের সহযোগিতা পেলে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।‘যাত্রাপালা’র মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও বিনোদন মাধ্যম সমতলেও আগের মতো দেখা যায়না। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক আগে থেকেই এই শিল্পের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ ছিলো।দীঘিনালার বানছড়া’র মতো অনেক জনপদে যাত্রাপালা’র প্রতি অকৃত্রিম টান থেকেই ধর্মীয় পালাপার্বণে স্থানীয় শিল্পীরা এগিয়ে আসেন মঞ্চে।তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া গেলে পাহাড়ে টিকে থাকবে যাত্রাপালা’র পাহাড়িয়া অন্য এক স্বতন্ত্র রুপ।

–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
আর্কাইভ