আগামী ২৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়িতে পুলিশ নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে সোশাল মিডিয়ায় দেয়া একটি পোস্ট জেলার সর্বমহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য কুখ্যাত খাগড়াছড়িতে অন্যসব নিয়োগের মতো ইতোপূর্বে পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রেও সবার নজর কেড়েছে। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ না খোলায় বিষয়টি বার বার ধামাচাপা পড়েছিল। এইবারও নিয়োগকে সামনে রেখে একটি প্রভাবশালী মহল টাকা-পয়সার দেনদরবার করছেন, এমন সংবাদ চাউর হবার পর পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামান নিজের ফেইসবুক ওয়ালে একটি পাবলিক পোস্ট শেয়ার করেন।
এই পোস্টটি খাগড়াছড়ির সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবার পাশাপাশি ‘টক অব দ্যা টাউন’-এ পরিণত হয়েছে। তিনি তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন,
প্রিয় খাগড়াছড়িবাসী,
আপনাদের সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ২৪/০৬/২০১৯খ্রিঃ তারিখে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পুূরুষ/নারী কনস্টেবল পদে ভর্তির জন্য প্রার্থী বাছাই করা হবে। শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে এবং নিয়োগ বিধি মোতাবেক মেধার ক্রমানুসারে যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে।
১০০ (একশত) টাকার ব্যাংক চালান ও ৩ (তিন) টাকা মূল্যের কনস্টেবল ভর্তি ফরম ক্রয় ছাড়া অন্য কোন অর্থ খরচ করতে হবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন আর্থিক লেনদেনে জড়িত হয়ে প্রতারিত হবেন না। এ ব্যাপারে সকলকে আগাম সতর্কতা প্রদান করা হলো। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তি বা পুলিশ সদস্য অনিয়ম বা আর্থিক লেনদেনে জড়িত প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ/বিভাগীয় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে পুলিশ সুপারের এমন অবস্থান প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’-এর খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি ড. সুধীন কুমার চাকমা বলেন, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারি হিশেবে তিনি সঠিক কাজটিই করেছেন। এখন যাঁরা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আছেন, যাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট; তাঁদেরকে সর্তকতার সাথে কাজটি সমাধা করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.