নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রোববার রাঙামাটির রাজবন বিহারে অধ্যক্ষ ও মহাপরিনির্বানপ্রাপ্ত আর্য্যপুরুষ শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ১০৪তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ভোরে কেক কেটে ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে সূচনা করা হয় দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা।
মহতী পূণ্যানুষ্ঠান যোগ দেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার পুণ্যার্থী। পদচারণায় মুখরিত হয় বিহার প্রাঙ্গণ। বিহারে সংরক্ষিত বনভান্তের পবিত্র দেহধাতুতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভিক্ষুসংঘসহ হাজারও বৌদ্ধ পুণ্যার্থী।এতে ভক্তির শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় বনভান্তের দেহধাতু।
সকাল ৯টায় মোমবাতি প্রজ্জলন ও ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, পিন্ড দান, পুষ্পাঞ্জলি উৎসর্গ, বিশ্বশান্তি প্যাগোডার উদ্দেশ্যে টাকা দানসহ নানাবিধ দানোৎসর্গ করা হয়। সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় ধর্মদেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি মহাস্থবির, পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠিরের অধ্যক্ষ শাসন রক্ষিত মহাস্থবির।
ধর্মীয় সভায় বালুখালী ইউপি সাবেক চেয়য়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অংসুইপ্রু চৌধুরী। এছাড়াও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকতু চাকমা, রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপসমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৌদ্ধ সাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙ্গামাটির মোরঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি ৯৪ বছর বয়সে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে পরিনির্বাণ লাভ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.