রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
রাবিপ্রবি’র মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাবিপ্রবি’র বিভিন্ন বিভাগ, শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা। বক্তব্যে দেন রাবিপ্রবির প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা, রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গৌরব চাকমা ও রাবিপ্রবি একাডেমিক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মাহবুব। এছাড়া সভায় ব্যবসায় অনুষদ এর ডীন ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সূচনা আখতার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল গফুর এবং কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বর্না চাকমা বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাবিপ্রবি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলোজি অনুষদের ডীন ও সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ধীমান শর্মা। আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাইস চ্যান্সেলর তাঁর বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। সেইসাথে তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দুই লক্ষ মা বোনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষণ ও ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি নেয়। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, ত্রিশ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে, দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই সোনার বাংলাদেশ, আমাদের লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমাদের এই দেশকে সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের ন্যায়ের পথে চলা উচিত। আমরা ন্যায়বান হবো, আমাদেরকে সরকার যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্বগুলো আমরা সুষ্ঠুভাবে পালন করবো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যারা আছে, তারা এই দেশ গড়ার কাজে যাতে সহযোগিতা করতে পারে ও বেড়ে উঠতে পারে, সেই বিষয়ে আমরা সচেষ্ট হবো। আমাদের দায়িত্ব হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা ও শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। ২০৪১ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সবাই প্রাণান্ত চেষ্টা করবো।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সারাদেশে অনেক বধ্যভূমি সৃষ্টি হয়েছে। শত ত্যাগ তিতিক্ষা আর ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমাদের যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, তা আমাদের সকলকে উপলব্ধি করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের প্রতি সম্মান রেখে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, আমরা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবো।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.