• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
রামগড়ে দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করলো গ্রীন হিল                    রাঙ্গামটির সাজেক থেকে ফেরার পথে জীপ উল্টে আহদের খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি। একজনকে চট্টগ্রামে প্রেরন করা হয়েছে                    রাঙামাটিতে উচ্চ মূল্যের ফলনের উপর সক্ষমতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন                    খাগড়াছড়ি লক্ষীছড়ির দুর্গম গ্রামে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করলো গ্রীন হিল                    পৌর মাঠ সৌন্দর্য্য বর্ধনে কাজের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন                    পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিলাইছড়িতে আলোচনা সভা                    যে দলই ক্ষমতায় আসুক চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে-ঊষাতন তালুকদার                    বিলাইছড়িতে সেনাজোনের আয়োজনে সম্প্রীতি ভলিবল ম্যাচ                    ভূবনজয় সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী কাবাডি দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে জুরাছড়ি জোন                    পার্বত্য চুক্তির অধিকাংশ ধারাই বাস্তবায়ন নেই,বাড়ছে ক্ষোভ আর হাতাশা                    দুর্গম গ্রামে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করলো গ্রীন হিল                    আওয়ামীলীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই জনগণের রায়ে ক্ষমতায় যেতে পারেনি-জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল                    সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন আইনজীবিদের                    মানিকছড়িতে গ্রীনহিল আয়োজনে মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচরে বন্যা কবলিত মানবিক সহায়তা প্রদান প্রকল্পের অবহিতকরন সভা                    নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে-ধর্ম উপদেষ্টা                    রাঙামাটিতে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স সচেতনামূলক সপ্তাহ পালন                    খাগড়াছড়িতে মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    খাগড়াছড়িতে গর্ভবতী নারী ও কিশোরীদের মোবাইল প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প                    অবশেষে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ পূর্নগঠন                    সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরীর মুক্তির দাবীতে রাঙামাটিতে প্রতীকি কর্মবিরতি                    
 
ads

জঙ্গলের সব্ জি বিক্রি করে সংসার চলে বিনীতা ত্রিপুরার

নিজস্ব প্রতিবেদক : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 29 May 2021   Saturday

চার সন্তানের জননী বিনতী ত্রিপুরা, বাড়ী উপজেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি।  মাথা ঘাম পেয়ে কষ্ট করে সংসার চলে তার।  ৪ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। স্বামী মারা যাবার পর সন্তানদের নিয়ে বসবাস, তার জীবনে কষ্টের সীমা নেই।  ছেলেমেয়েদের কাউকে দিতে পারেনি ভাল মানের পরনে পোশাক।  নিজের পরনে কাপড়ও ছেঁড়া, ফাটা। পাশাপাশি একই গ্রামের আরও দুইজন বিধবা মায়ের সাথেও কথা হয়। আর বিয়ের পর শারীরিক, মানসিক, সামাজিকসহ নানা ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের।।
 

সরেজমিনে গিয়ে, এ রকমই কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম তাদের সমস্যাগুলো জানতে। তারাও জানিয়েছে তাদের বেদনার কথা।
 

কথা হচ্ছিল বিনতী ত্রিপুরা সঙ্গে।বয়স ৩৯।  সে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ওয়াক্রাক পাড়ার বাসিন্দা।জেলা সদর থেকে ২০ কি.মি আর খাগড়াছড়ি- পানছড়ি প্রধান সড়ক থেকে ৫/৬ কি.মি দূরে তার বসবাস। স্বামী গোপাল ত্রিপুরা ৪ বছর আগে অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যু হয়। তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানদের নিয়ে কষ্টের দিন কাটে তার। মেয়ের নাম মনতা ত্রিপুরা (বড় মেয়ে), মেঝ মেয়ে-ময়না ত্রিপুরা (১০), একমাত্র ছেলে নিশান ত্রিপুরা (০৮ বছর), সবার ছোট মেনতি ত্রিপুরা। ছেলেমেয়েদের কাউকে দিতে পারেনি ভাল মানের পরনে পোশাক। নিজের পরনে কাপড়ও ছেঁড়া, ফাটা। উৎসবের দিনেও তাদের ঘরে থাকে না পর্যাপ্ত খাবার। স্বামী মারা যাওয়ার পর কয়েকদিনের মাথায় বড় মেয়ে (মনতা ত্রিপুরা) কে বিয়ে দেয় অল্প বয়সে।  বাল্যবিবাহ কিনা জিঙ্গাসা করলে, বলেন এসব নাকি জানিনা। বিয়ে-পরবর্তী জীবনে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, নিজেই জানায় সে কথা।ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করান কিনা জিঙ্গেস করলে বিনতী বলেন‘বাচ্চাদের দু’বেলা খাওয়াইতে পারিনা, পড়ালেখা করাবো কেমনে’।মেঝ ছেলে‘নিশান ত্রিপুরা’ পাড়াকেন্দ্রে ভর্তি করালেও বর্তমানে করোনা নাকি কি এসে তাও পড়ালেখা বন্ধ। এতটুকু বলে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে বিনতী।  আত্বীয় স্বজন সহযোগিতা করে না? জিঙ্গেস করলে তারপর আবার বলে, ‘গরীবের আবার আত্বীয় আছে নাকি?

 

সংসার কিভাবে চালান জানতে চাইলে  উত্তর দে, ‘জঙ্গল থেকে শাক-সবজি বিক্রি করে।   জঙ্গল থেকে শাকসবজি ও আলু যা পায়, তা বিক্রি করে সংসার চালান।   আজকে কি তরকারি পেলেন জিঙ্গাসা করলে তিনি বলেন, আজকে কিছুই পায়নি, আজকে বাজারে যেতে পাবো না। কিন্তু কোনো উপায় নাই।রাতের খাবারের জন্য হয়তো অন্যের ঘর থেকে ধার নিতে হবে।  নয়তোবা না খেয়ে থাকবো।’
 

একই গ্রামে আরও এক পাহাড়ে থাকে নলাতি ত্রিপুরা।   বয়স ৬৯ বছর।  ওর দুই ছেলে ছিল।কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, ২/৩ বছর বয়সে দু’জনে মারা যায়।  ৩ বছর ধরে একা থেকেছেন।   টালি মারা ঘর, ভিতরে কিছু ময়লা কাপড় চোপড়। বয়স্ক ভাতা মাসে ৫০০  টাকা করে, তিন মাস অন্তর অন্তর পায়।  তা দিয়ে কোনরকম সংসার সংসার চলে তার। কোনো কাজকর্ম করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার ঘরে থাকতে চান না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জোরমরম এলাকায় এ কয়েকটা ঘর দেখেছি।  যদি আমাকেও প্রধানমন্ত্রী ঘর উপহার দেয়, তাহলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতে পারবো।  প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।
 

মহনশ্রী ত্রিপুরা।  বাড়িও একই গ্রাম ওয়াক্রাক পাড়ার।বয়স ৬৬ বছর।  দুই সন্তান আছে তার।  নাম: মন্টু বিকাশ ত্রিপুরা ও চনি বালা ত্রিপুরা।  ছেলে সন্তান সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত।  মাকে মাঝেমধ্যে খরচ দিতে হিমশিম। বয়স্ক ভাতা পান কিনা জিঙ্গেস করলে, তিনি বলেন, বয়স্ক ভাতা গত বছর করোনাকালীন থেকে শুরু হয়ে এক বছর হলো।  তা দিয়ে কোনরকম সংসার।  একাই থাকেন তিনি। খরকুটো, পুরাতন বেড়া দিয়ে গড়া বসতবাড়িতে থাকতো তিনি। চলতে কষ্ট হয় ওর। জানায় সে নিজেই, মাঝে মধ্যে না খেয়ে থাকে।’

 

এ বিষয়ে ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা জানান তাদের ভিজিডি আওয়াতায় আনার জন্য কাগজ পত্র নেয়া হয়েছে। আর  বাড়ী এত দুর্গম এলাকায় যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘর দেয়া হলেও  সেখানে পরিবহন ও পানির ব্যবস্থা না থাকায় ঘর করা সম্ভব নয়।  তবে তারা যেন সকল সরকারী সুযোগ মুবিধা পায় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

---হিলবিডি/সম্পাদনা/এ,ই

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ