• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
বিলাইছড়িতে ২০ লক্ষ ভারতীয় রুপীসহ এক গরু ব্যবসায়ীকে আটক                    কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত ও জেলেদের মাঝে ভিজিএফের চাউল বিতরণ                    রাঙামাটিতে নির্জন এলাকায় ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন                    জেএসএস নেতাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ-সমাবেশ                    বিলাইছড়িতে অগ্নিকান্ডে ৫০টি দোকান পুড়ে ছাই,আহত ৩                    বিলাইছড়িতে নৌ চলাচলে ভোগান্তি,স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ                    সামাজিক উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটিতে ৫দিনের সাংস্কৃতিক মেলা শুরু                    খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ                    বিলাইছড়িতে বন্য শুকরের আক্রমণে গুরুতর আহত ৩                    বিলাইছড়িতে রাজগুরু অগ্রবংশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন                    প্রধানমন্ত্রী তিন পার্বত্য জেলায় মাচাং ঘরের বিশেষ একটি ডিজাইন করেছেন                    রাঙামাটিতে পাওনা টাকা নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আটক ১                    কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবিতে পর্যটক দুই সহোদর বোনের মৃত্যূ ও আহত ৩                    শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক শিক্ষা নয়, মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে-দীপংকর তালুকদার এমপি                    রাঙামাটি জেলায় ৮১ হাজার ৭৭৬ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পসুল খাওয়ানো শুরু                    রাঙামাটিতে দুদিন ব্যাপী একুশে বই মেলা শুরু                    পাহাড়ে স্ব স্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালুর দাবীতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন                    শিবচতুর্দশী মেলা ঘিরে কাপ্তাই সীতাঘাটে পূর্ণার্থীদের ভীড়                    রাঙামাটিতে এসএমই ব্যবসায় বৈচিত্র্যকরণ’ বিষয়ক ব্যাপী দুদিনের কর্মশালা                    রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত                    বর্তমান সরকারের সময় পার্বত্যাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্যমন্ত্রী                    
 
ads

জঙ্গলের সব্ জি বিক্রি করে সংসার চলে বিনীতা ত্রিপুরার

নিজস্ব প্রতিবেদক : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 29 May 2021   Saturday

চার সন্তানের জননী বিনতী ত্রিপুরা, বাড়ী উপজেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি।  মাথা ঘাম পেয়ে কষ্ট করে সংসার চলে তার।  ৪ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। স্বামী মারা যাবার পর সন্তানদের নিয়ে বসবাস, তার জীবনে কষ্টের সীমা নেই।  ছেলেমেয়েদের কাউকে দিতে পারেনি ভাল মানের পরনে পোশাক।  নিজের পরনে কাপড়ও ছেঁড়া, ফাটা। পাশাপাশি একই গ্রামের আরও দুইজন বিধবা মায়ের সাথেও কথা হয়। আর বিয়ের পর শারীরিক, মানসিক, সামাজিকসহ নানা ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের।।
 

সরেজমিনে গিয়ে, এ রকমই কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলাম তাদের সমস্যাগুলো জানতে। তারাও জানিয়েছে তাদের বেদনার কথা।
 

কথা হচ্ছিল বিনতী ত্রিপুরা সঙ্গে।বয়স ৩৯।  সে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ওয়াক্রাক পাড়ার বাসিন্দা।জেলা সদর থেকে ২০ কি.মি আর খাগড়াছড়ি- পানছড়ি প্রধান সড়ক থেকে ৫/৬ কি.মি দূরে তার বসবাস। স্বামী গোপাল ত্রিপুরা ৪ বছর আগে অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যু হয়। তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানদের নিয়ে কষ্টের দিন কাটে তার। মেয়ের নাম মনতা ত্রিপুরা (বড় মেয়ে), মেঝ মেয়ে-ময়না ত্রিপুরা (১০), একমাত্র ছেলে নিশান ত্রিপুরা (০৮ বছর), সবার ছোট মেনতি ত্রিপুরা। ছেলেমেয়েদের কাউকে দিতে পারেনি ভাল মানের পরনে পোশাক। নিজের পরনে কাপড়ও ছেঁড়া, ফাটা। উৎসবের দিনেও তাদের ঘরে থাকে না পর্যাপ্ত খাবার। স্বামী মারা যাওয়ার পর কয়েকদিনের মাথায় বড় মেয়ে (মনতা ত্রিপুরা) কে বিয়ে দেয় অল্প বয়সে।  বাল্যবিবাহ কিনা জিঙ্গাসা করলে, বলেন এসব নাকি জানিনা। বিয়ে-পরবর্তী জীবনে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, নিজেই জানায় সে কথা।ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করান কিনা জিঙ্গেস করলে বিনতী বলেন‘বাচ্চাদের দু’বেলা খাওয়াইতে পারিনা, পড়ালেখা করাবো কেমনে’।মেঝ ছেলে‘নিশান ত্রিপুরা’ পাড়াকেন্দ্রে ভর্তি করালেও বর্তমানে করোনা নাকি কি এসে তাও পড়ালেখা বন্ধ। এতটুকু বলে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে বিনতী।  আত্বীয় স্বজন সহযোগিতা করে না? জিঙ্গেস করলে তারপর আবার বলে, ‘গরীবের আবার আত্বীয় আছে নাকি?

 

সংসার কিভাবে চালান জানতে চাইলে  উত্তর দে, ‘জঙ্গল থেকে শাক-সবজি বিক্রি করে।   জঙ্গল থেকে শাকসবজি ও আলু যা পায়, তা বিক্রি করে সংসার চালান।   আজকে কি তরকারি পেলেন জিঙ্গাসা করলে তিনি বলেন, আজকে কিছুই পায়নি, আজকে বাজারে যেতে পাবো না। কিন্তু কোনো উপায় নাই।রাতের খাবারের জন্য হয়তো অন্যের ঘর থেকে ধার নিতে হবে।  নয়তোবা না খেয়ে থাকবো।’
 

একই গ্রামে আরও এক পাহাড়ে থাকে নলাতি ত্রিপুরা।   বয়স ৬৯ বছর।  ওর দুই ছেলে ছিল।কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, ২/৩ বছর বয়সে দু’জনে মারা যায়।  ৩ বছর ধরে একা থেকেছেন।   টালি মারা ঘর, ভিতরে কিছু ময়লা কাপড় চোপড়। বয়স্ক ভাতা মাসে ৫০০  টাকা করে, তিন মাস অন্তর অন্তর পায়।  তা দিয়ে কোনরকম সংসার সংসার চলে তার। কোনো কাজকর্ম করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার ঘরে থাকতে চান না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, জোরমরম এলাকায় এ কয়েকটা ঘর দেখেছি।  যদি আমাকেও প্রধানমন্ত্রী ঘর উপহার দেয়, তাহলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত থাকতে পারবো।  প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।
 

মহনশ্রী ত্রিপুরা।  বাড়িও একই গ্রাম ওয়াক্রাক পাড়ার।বয়স ৬৬ বছর।  দুই সন্তান আছে তার।  নাম: মন্টু বিকাশ ত্রিপুরা ও চনি বালা ত্রিপুরা।  ছেলে সন্তান সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত।  মাকে মাঝেমধ্যে খরচ দিতে হিমশিম। বয়স্ক ভাতা পান কিনা জিঙ্গেস করলে, তিনি বলেন, বয়স্ক ভাতা গত বছর করোনাকালীন থেকে শুরু হয়ে এক বছর হলো।  তা দিয়ে কোনরকম সংসার।  একাই থাকেন তিনি। খরকুটো, পুরাতন বেড়া দিয়ে গড়া বসতবাড়িতে থাকতো তিনি। চলতে কষ্ট হয় ওর। জানায় সে নিজেই, মাঝে মধ্যে না খেয়ে থাকে।’

 

এ বিষয়ে ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা জানান তাদের ভিজিডি আওয়াতায় আনার জন্য কাগজ পত্র নেয়া হয়েছে। আর  বাড়ী এত দুর্গম এলাকায় যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘর দেয়া হলেও  সেখানে পরিবহন ও পানির ব্যবস্থা না থাকায় ঘর করা সম্ভব নয়।  তবে তারা যেন সকল সরকারী সুযোগ মুবিধা পায় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

---হিলবিডি/সম্পাদনা/এ,ই

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ