রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কন্দ্রে করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছাত্রদলের ১০ জন ও ছাত্রলীগের ১০ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪জনকে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বাঘাইছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ছিল। শুক্রবার সেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা সদরের বাবুপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে সন্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে উভয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত পক্ষে ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্বেচ্ছাসেবক দলের আহতরা হলেন, মোহাম্মদ মানিক, আল আমিন, রেজাউল, রফিক, সোহেল, নাছির, আতিক, সবুজ, হৃদয় গাজী ও রবিউল। এর মধ্যে নাছির,আতিক,আল আমিন ও রফিককে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাত্ররীগের আহতরা হলেন, ১নং পৌর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম, একই ওয়ার্ডের সদস্য তোফায়েল আহম্মদ, উপজেলা ছাত্রলীগ আহŸায়ক কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দীন হৃদয়, সদস্য আশিকুর রহমান জয়, কাচলং কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন আকাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাসেল চৌধুরী। বাকীদর নাম জানা যায়নি।
বিএনপির বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি ওমর আলী অভিযোগ করে বলেন, গেল ২৫ আগষ্ট স্বেচ্ছাসেবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি ছিল। কিন্তু উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচি দেওয়ার কারণে পরের দিন গতকাল শুক্রবার(২৬ আগষ্ট) স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী পালনের জন্য উপজেলা সদরের বাবুপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়। গতকাল সকাল ৮টার দিকে উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের কিছু কর্মীরা কমিউনিটি সেন্টারের ব্যানার ও মঞ্চ ভাংচুর করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাঙামাটি থেকে জেলা বিএনপির নেতারা উপজেলা লঞ্চঘাটে পৌছলে ওই সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা নেতৃবৃন্দের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা সন্মেলনে যোগদান না দিয়ে রাঙামাটিতে ফিরে যান। পরে উপজেলা সদরে অবস্থানরত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।
এদিকে পাল্টা অভিযোগ করে বাঘাইছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সনি দেব জানান, শোকের মাসে আমরা শোক দিবস পালন নিয়ে ব্যস্ত। আমরা এ শোকের মাসে কোন ধরনের শান্তিপূর্ন পরিবেশ নষ্ট হোক তা চাই না। আমাদের কর্মসূচি পালনের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তার নেতাকর্মীরাদের উপর হামলা করলে অন্তত পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। তারা আমদের উপর হামলা করে এখন উল্টো দোষ চাপাচ্ছে। আমাদের আহত নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে ও বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) টমাস বড়ুয়া জানান, দুদলের মধ্যে হালকা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে আহতের খবর পায়নি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.