সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটিতেও উৎসব মূখর পরিবেশে সোমবার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে জাতীয় পাঠ্য বই ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের নিজস্ব মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হয়েছে।
শহরের গোধুলী আমানতবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে আন্ষ্ঠুানিকভাবে বিনামূল্য নতুন পাঠ্য বই ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের হাতে নিজস্ব মাতৃভাষার বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা) নাসরিন আক্তার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঋষিকেশ শীল, গোধুলী আমানতবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম প্রমুখ। পরে অতিথিরা চকলেট, ফুল ও নতুন বই হাতে তুলে দেন। সেই সাথে চাকমা,মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিশুদের নিজস্ব মাতৃভাষার বইও তুলে দেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা হেছে, নতুন বছরে রাঙামাটি জেলায় ১০ উপজেলার ১হাজার ৬৪টি বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ৯১ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থীকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৯টি বই বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া চাকমা,মারমা ত্রিপুরাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্ষন্ত ২৮ হাজার ১৫৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬৩ হাজার ৪৬৮টি মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সম্প্রদায়ের শিশুদের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ১৪ হাজার ১৮টি, প্রথম শ্রেনীতে ২১ হাজার ১২৯টি, দ্বিতীয় শ্রেনীতে ২১ হাজার ৩২৭টি ও তৃতীয় শ্রেনীতে ৬ হাজার ৯৯৪টি বই বিতরণ করা হয়েছে।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঋষিকেশ শীল বলেন, এবার রাঙামাটি জেলায় সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে তিনটি নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাতৃভাষার বইসহ শতভাগ পাঠ্য বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্য রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সহায়তায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে মাতৃভাষায় পাঠদানে প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে এ বছরও আগামী ফ্রেব্রæয়ারী থেকে শিক্ষকদের মাতৃভাষায় পাঠদানের উপর প্রশিক্ষণ শুরু করা হবে। আশা করছি এর মাধ্যমে মাতৃভাষায় শিক্ষাদানটি আরো সুন্দর, শানিত ও সমৃদ্ধ হবে।
জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান বলেন, সারা দেশের ন্যায় রাঙামাটিতেও উৎসব মুখর পরিবেশে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন বছরে নতুন বই বিনামূল্য বিতরণ করা হয়েছে। সেই সাথে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী শিশুদের মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হয়েছে। এ মাতৃভাষায় শিক্ষা পাঠদানের ধারাটি অব্যাহত রাখতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.