রাঙামাটি ২৯৯ নং ও খাগড়াছড়ি ২৯৮ আসনে ২৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোট বক্সে একটিতেও কোন ভোট পড়েনি। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি আসনের মোট ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি ও রাঙামাটি আসনে মোট ২১৩টির মধ্যে ৮টি কেন্দ্র রয়েছে।
জানা গেছে, রাঙামাটি ২৯৯নং আসনে ২১৩টির মধ্য ৮টি কেন্দ্রে ভোট শুন্য পড়েছে। এর মধ্য বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ভাইবোনছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুইছুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কংলাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গলতলী ইউপির বঙ্গলতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিয়ালদাহলুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার শুন্য ভোটের কথা স্বীকার করেছেন। কাউখালী উপজেলায় ফটিকছড়ি ইউপির নাভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বর্মাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘাগড়া ইউপির পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা রক্তিম চক্রবর্তী ও বাঘাইছড়ি নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা শিরিন আক্তার শুন্য পড়ার কথা কথা স্বীকার করেছেন। এ ৮টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ১৫হাজার ১৫৯ জন।
অপরদিকে খাগড়াছড়ির ২৯৮ নং আসনে পানছড়ি উপজেলার ২৪ কেন্দ্রের ১১টিতে শূণ্য ভোট এবং দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভোট পড়ে। পানছড়ির সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দীঘিনালা উপজেলায় ৩টি কেন্দ্রে শূণ্য গেছে। আরো ৫টি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ১৮জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। লক্ষীছড়িতে ১২ কেন্দ্রের ৫টিতেই ভোট পড়েনি। এরমধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ৪টি ও সদর ইউনিয়নের ১টি। স্বস্ব উপজেলায় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা কেন্দ্রে এই তথ্য জানানো হয়। তবে, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান এখনো এ বিষয়ে কথা বলেননি।
তবে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী দাবি করেছেন, এসব কেন্দ্রগুলো মূলত: প্রসিত খীসা’র নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’-এর প্রভাবিত এলাকা। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনে বাঁধা ও বিধি নিষেধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ইউপিডিএফ’র সংগঠক অংগ্য মারমা সরকারি দলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সরকারের নীল নকশার নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে ভোটাররা। এটা জনগণের মৌন প্রতিবাদ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.