• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
পার্বত্যাঞ্চল থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ১২জন ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা                    ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে বিজু,সাংগ্রাই, বৈসুক উৎসব শুরু                    বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু উপলক্ষে রাঙামাটিতে বর্নাঢ্য র‌্যালী                    বান্দরবানে ধরপাকড়,হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ ও আটকদের মুক্তির দাবি তিন সংগঠনের                    বিজু উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর আর্থিক সহায়তা                    রাঙামাটিতে জুম উৎসবের আয়োজন                    বন বিভাগের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সন্মেলন                    বিলাইছড়িতে আগুনে ৬টি বসতঘর পুড়েছে, আহত ১                    পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস কর্মসূচি পালন                    রাবিপ্রবি’তে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত                    বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের সমাধীতে বিজিবির মহাপরিচালকের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন                    রাঙামাটিতে নতুন সিভিল সার্জন ডাঃ নূয়েন খীসা                    রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের দরপত্র প্রকাশ নিয়ে গোপণীয়তার অভিযোগ                    কাপ্তাইয়ে গাছ কাটার অনুমতি না থাকায় ব্রীজ নির্মাণে অশ্চিয়তা                    সুখ-শান্তি কামনায় বালুখালীবাসীর মহাসংঘদান                    বরকলে অজ্ঞাত রোগে ৫ জনের মৃত্যু, ১৪ জন অসুস্থ, এলাকায় আতংক                    রাঙামাটিতে জেনারেল হাসপাতালের সাথে সনাকের অ্যাডভোকেসি সভা                    গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি                    স্বপ্ন প্রতিবন্ধীর সভাপতি ত্রিনা চাকমা ও সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী                    ঘাতক ট্রাক প্রাণ কেড়ে নিল রাঙামাটি সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষাথী সালেহিনের                    চ্যাম্পিয়ন লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ                    
 
ads

পাহাড়ের আদিবাসীদের নিজস্ব বর্ণমালার পাঠ্য-পুস্তুকের দুষ্প্রাপ্যতা থাকলেও জ্ঞান পিপাসা থেমে থাকেনি

Published: 27 Feb 2015   Friday

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের নিজস্ব মাতৃভাষার বর্ণমালার পাঠ্যপুস্তক দুষ্প্রাপ্যতা থাকলেও প্রচলিত শিক্ষার প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জসগোষ্ঠীরা বেশ আগ্রহী। ঐতিহাসিকভাবে নানা সংকটময় সময়েও তাঁদের অব্যাহত জ্ঞান পিপাসা থেমে থাকেনি। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতার ঘাটতি থাকায় পাহাড়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পন্ন এসব জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব বর্ণমালায় সাহিত্য খুব বেশী বিকশিত হতে পারেনি বলে অভিযোগ।


জানা গেছে, আশির দশকের শেষদিকে ‘জাক (জুম ঈসথেটিক কাউন্সিল) জেনারেশন’ ১৯৮৭ সাল থেকে ‘দিক্পাদা’ নামে চাকমা বর্ণমালায় একটি ত্রৈমাসিক সংকলন প্রকাশ শুরু করে; যেটি অনিয়মিতভাবে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টিকে ছিলো। সে সময়ে চাকমা বর্ণমালার কম্পোজফন্ট আবিষ্কৃত না হওয়ায় সাইক্লোস্টাইলেই ‘দিকপাদা’ আলোর মুখ দেখে। চাকমা বর্ণমালার হস্তাক্ষরকে ট্রেচিং পেপারে তুলে নব্বই দশকের শেষদিকে প্রকাশ ঘটে ত্রৈমাসিক ‘আলাম’র। চলচ্চিত্রকর্মী শুভাশীষ চাকমার সম্পাদনায় প্রকাশিত আলাম’র সূত্র ধরে গড়ে তোলা হয় বর্ণমালা ও ভাষাভিত্তিক সংগঠন ‘শিপচরণ সাহিত্য কেন্দ্র’। 


১৭’শ শতকের দিকে স্বভাব কবি শিপচরণ সৃষ্টি করেন, অসাধারণ কাব্যময় ‘গোজেনলামা’। অবশ্য তারও অনেক আগে থেকেই চাকমা বর্ণমালায় লেখা ‘তালিক (তান্ত্রিক চিকিৎসা বিবরণ)’ ধর্মীয় গুরু ও বৈদ্যদের কাছে সযতনে রক্ষিত ছিলো। এটি এখনো থাকলেও প্রায় দুষ্প্রাপ্য। তবে বর্তমানে চাকমা বর্ণমালায় চাকমা ভাষার একটিমাত্র উপন্যাস লিখেছেন দেবপ্রিয় চাকমা। এছাড়া আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের মধ্যে মারমা-ত্রিপুরাসহ অন্য জাতিগোষ্ঠিগুলোর মাতৃভাষার বর্ণমালার পাঠ্যপুস্তকের সংকটও অবস্থা।


জাক, হুয়াং-বোই-ওবা’, ‘রেগা লাইব্রেরী’ মোনঘর পাঠাগার, ‘বনযোগীছড়া কিশোর-কিশোরী কল্যাণ সমিতি’ পাঠাগারসহ পার্বত্য এলাকার সবকটি সৃজনশীল প্রতিষ্ঠানে মাতৃভাষায় লেখা বইপত্রের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি সরকারীভাবে পরিচালিত ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউ’ও এই দৈন্যতার উর্ধ্বে উঠতে পারেনি। অভিধানের নামে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলা বর্ণমালায় চাকমা ভাষার শব্দ কোষ।


পাহাড়ের আলোক বাতিঘর মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝিমিত ঝিমিত চাকমা, দীর্ঘদিন ধরেই সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন। তার মেেত, সংকট-অস্থিরতা-পীড়ন-বঞ্চনা আর দারিদ্র্য কখনো পাহাড়ীদের পিছু ছাড়েনি। বৃহৎ জনগোষ্ঠির সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে গিয়ে বিপন্ন তাঁদের লিখিত মাতৃভাষা। তিনি দাবী করেন, বিগত দশক থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজ নিজ বর্ণমালা চর্চা এবং লেখালেখির একটি ধারা সৃষ্টি হয়েছে। এটি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের ভাষাবৈচিত্র্য সমৃদ্ধি পাবে।


অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশেষ করে ‘পার্বত্য চুক্তি’র পর পাহাড়ে প্রায় সব জাতিগোষ্ঠির উৎসব-পার্বণ থেকে স্মরণীয় দিবসে প্রকাশিত অনিয়মিত সংকলনে নিজস্ব বর্ণমালার প্রচুর লেখা স্থান পাচ্ছে। তবে এটিকে একটি ইতিবাচক ও ভাষা সংরক্ষণের সম্ভাবনাময় দিক হিসেবে দেখছেন, সুখেশ্বর চাকমা পল্টু। যিনি একযুগেরও বেশী সময় ধরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মাতৃভাষা ও বর্ণমালা লালনে প্রণোদনা যুগিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, সমতলের তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী ভাষাগুলোর অবস্থা অনেক বেশী প্রান্তিক। এসব ভাষার বিকাশ ও সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সমতলের বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনও পাহাড়ের লেখকদের পাশে দাঁড়াতে পারে। কারণ এককভাবে সরকার যেমন সবকিছু করতে পারেনা তেমনি মুল্যায়ন ছাড়া পাহাড়ের সাহিত্য সমতলে পৌঁছুতে পারবে না।


জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথমদিকে জাতীয় কবিতা পরিষদের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাহাড়ের কবি মৃত্তিকা চাকমাকে সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। এর আগে প্রয়াত কবি সমুদ্র গুপ্তের সময় খাগড়াছড়ির লেখক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরাকে রাখা হয়েছিল।


অপর ভাষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দীঘিনালা চাঙমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির প্রতিষ্ঠাতা আনন্দময় চাকমা বলেন, এ ধরনের প্রচেষ্টাকে পাহাড়ের ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় দারুণ উৎসাহ যোগাচ্ছে। তার মতে,ঢাকায় একুশের বইমেলায় বাংলা-ইংরেজী ভাষার শত শত বই প্রকাশ করছেন দেশীয় প্রকাশকরা। সে সব প্রকাশকরা যদি চাকমা-মারমাসহ আদিবাসী জাতিগোষ্ঠির লেখকদের পাশে দাঁড়াতেন তাহলে প্রতিবছর অনেক লেখকের আত্মপ্রকাশ ঘটতো। 
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
আর্কাইভ