বাঘাইছড়িতে ৭জন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।
বৃহস্পতিবার পার্বত্য নাগরিক পরিষদদের দপ্তর সম্পাদক মো: খলিলুর রহমানের স্বাক্ষরিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি: আলকাছ আলমামুন ভূইঁয়া এই ঘোষনা দেন।
প্রেস বার্তায় পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের সাড়াষি অভিযান শুরুর দাবী জানিয়ে বলেন,পাহাড়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে একের পর এক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী তথা পার্বত্য বাঙ্গালীরা প্রাণ হারাচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে পাহাড়ের পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটার আশংকা রযেছে। তাই সরকারকে অবিলম্বে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানানো হয়েছে।
প্রেস বার্তায় বাঘাইছড়িতে নিহত সকল পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ,হত্যাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ,পার্বত্য চট্টগ্রামে থেকে প্রত্যাহারকৃত সকল সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যৌথবাহিনীর মাধ্যমে অবৈধ অস্র উদ্ধার করা, গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা এম পি বাসন্তি চাকমার দেয়া বক্তব্যের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদেরকে উস্কে দিয়েছিল বলেই পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করার কারণে পাহাড়ের এ সব হত্যাকান্ড হচ্ছে, হেতু সংরক্ষিত মহিলা এম পি বাসন্তি চাকমাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয়েছে। অন্যথায় আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পার্বত্য বাসী সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারী করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.