পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের কার্যবিধিমালার প্রনয়নের কাজ চলছে। এ বিধিমাা প্রনয়ন কাজের গতি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনে এ পর্ষন্ত ২২ হাজার ৯শ আবেদনের শুনানীর জন্য জমা পড়েছে। ভুমি বিরোধ সংক্রান্ত বিরোধের আবেদন যে কোন সময়ে কমিশনে আবেদন করা যাবে এবং এ নিয়ে কমিশন থেকে নির্ধারিত কোন সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়নি। ভুমি কমিশন যতদিন থাকবে ততদিন এ সংক্রান্ত আবেদন জমা নেয়ার চলমান থাকবে।
তিনি বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের (ল্যান্ড কমিশন) চেয়ারম্যান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
কমিশন চেয়ারম্যান আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের বিধিমালা প্রনয়ন করতে সরকারের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ থেকে প্রস্তবনা আকারে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিধিমালাটি এখনো প্রনয়ন হয়নি। বিধিমালা প্রনীত হলে ভূমি বিরোধ নিস্পত্তির কাজ শুরু করা হবে। আগামী ১০ অক্টোবর রাঙামাটিতে ভূমি কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশনের সদস্য চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় জানান, সরকার ভূমি কমিশনের বিধিমালা তৈরী করবে। তবে আশা করবো পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ থেকে বিধিমালার জন্য যে প্রস্তাবগুলো পাঠানো হয়েছে এবং আরো প্রস্তাব পাঠানো হবে সেগুলো সরকার যাতে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিধিমালা প্রনয়ন করে।
তিনি আরো জানান,আইনের বিধানবলীর মধ্যে সম্পুরক কিছু সম্পুরক পায় তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে ভুমি বিরোধ সংক্রান্ত বিরোধের আবেদন শুনানীর পর্যায়ে যেতে পারবো। তবে কোন ধরনের বিরোধ কত দিন লাগবে, কত মাস লাগবে তা বলা যাচ্ছে না, তবে কমিশনের সদস্যরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে খুব শীঘ্রই শুনানী পর্যায়ে পারবেন এবং নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
এর আগে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক এতে সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিশনের অন্যতম সদস্য ও চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীফ উ চ প্রু, মং সার্কেলের চীফ সাচিং প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা প্রতিনিধি হিসেবে পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, ভূমি কমিশনের সচিব মোঃ আলী মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.