বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উপলক্ষে রোববার রাঙামাটিতে র্যালী ও সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আত্মমর্যাদার পরিবেশ কুষ্ঠ কলঙ্কের হবে শেষ- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যেোগে আন্তর্জাতিক সংস্থা দি লেপ্রোসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সিএইচটি সহযোগীতায় দিবসটি পালিত হয়েছে।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কুষ্ঠ রোগ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা ও করণীয় বিষয়ে সচেতনতা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সিবলী শফিউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিনোদ শেখ চাকমা। সভার শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামের কুষ্ঠ রোগের অবস্থা নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন লেপ্রোসী মিশনের মেডিকেল অফিসার ডা. জীবক চাকমা। এর আগে একটি র্যালী বের হয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় হয়ে রাঙামাটি সদর উপজেরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় ঘুরে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
ডা. জীবক চাকমা তার উপস্থাপনায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে গত এক বছরে কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১৬ জন। তার মধ্যে ৪৫ জন রাঙামাটি জেলা থেকে। এর মধ্যে কাউখালী উপজেলা থেকে শনাক্ত হয়েছে ১৬ জন। এ ছাড়া বাঘাইছড়ি, বরকল, রাজস্থলী উপজেলা থেকেও রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর বাইরেও চিকিৎসার আওতার বাইরে থাকতে পারেন বলেন জীবক চাকমা। তিনি বলেন সচেতনতার অভাব ও কু সংস্কারের কারণে এখনো অনেকে এ রোগ বিষয়ে অবগত নয়। সমাজ থেকে আলাদা হতে হবে এমন আশংকায় অনেকে তথ্য গোপন করে। এ রোগ চিকিৎসায় সম্পুর্ণ ভাল হয় তা তারা জানে না। অনেকে বিভিন্ন বৈদ্য কবিরাজে কাছে চিকিৎসা করে। এ ভুল চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেকের জীবন বিপন্ন হবার উপক্রম হয়। যখন চিকিৎসা করা কঠিন তখন এসব রোগীরা লেপ্রোসী মিশনের কাছে আসে। যদি উপসর্গ দেখার সাথে সাথে লেপ্রোসীর কাছে আসলে তাহলে রোগীরা এমন সমস্যায় সম্মূখীন হতেন না।
তিনি আরো বলেন পাহাড়ের দুর্গম এবং শিক্ষা দীক্ষায় অনুন্নত এলাকাগুলো এ রোগের প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। সবাই সচেতন হলে এ রোগ পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নির্মূল করা সম্ভব।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.