প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বুনন শিল্প ও জুম চাষে বিভিন্ন ফসলের বীজ সংরক্ষণ,প্রতিপালন, প্রচারের লক্ষে রোববার রাঙামাটিতে দিন ব্যাপী জুম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয় সাবারং রেষ্টুরেন্টে চাকমা রাজ অফিস,তারুম ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং টংগ্যার যৌথ উদ্যোগে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। চাকমা ও ম্রোদের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র সিঙে ও প্ললং সুরে সুরে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, বিশিষ্ট হস্তশিল্পবিদ মঞ্জুলিকা চাকমা,কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা, শিক্ষাবিদ অঞ্জুলীকা খীসা, উন্নয়ন কর্মী ইলিরা দেওয়ান, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচংগ্যাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। উৎসবে চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা,ম্রো,খুমিসহ বিভিন্ন সম্প্রদায় ষ্টলে প্রাচীন বুনন শিল্পের বিভিন্ন নকশা বা আলাম থেকে কাপড় চোপড়, গহনা এবং জুম চাষের ধানের বীজসহ নানান জাতের তিল,সব্জির বীজ ও বিভিন্ন উপকরণ প্রদর্শিত হয়। উৎসব চলাকালে জুম চাষ ও বুনন শিল্প নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী, উন্নয়ন সংস্থা কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সা্স্কংৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
আয়োজক কমিটি জানিয়েছে এ উৎসবের আয়োজনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পাহাড়ীদের প্রাচীনতম বুনন শিল্পগুলোর সাথে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় ঘটানো, এ শিল্পের নক্সা বা আলামগুলোকে কাজে লাগিয়ে নিয়ে কাপড়চোপড় তৈরী করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো। এছাড়া জুমিয়াদের আদিকাল থেকে চাষাবাদকৃত জুম ধানের বীজ ও বিভিন্ন ফসলের বীজ প্রায় বিলুপ্তি। তাই এসব সংরক্ষন, প্রতিপালন ও প্রচারের লক্ষে জুম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফসলের বীজ ও পন্য প্রদর্শনী করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.