• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
সাজেকে পর্যটকবাহী জীপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খুবির এক শিক্ষার্থী নিহত ও আহত ১১                    দুদকের রাঙামাটি জেলা পরিষদে অভিযান                    তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি চলছে                    খাগড়াছড়িতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য চিকিৎসা ক্যাম্প                    ডিজিটাইজেশন হলে পার্বত্যাঞ্চলে ভূমি ব্যবস্থাপনা সমাধান সহজ হবে-পার্বত্য উপদেষ্টা                    ডাকসু নবনির্বাচিত জিএস ফরহাদ রাঙামাটিরই আলোকিত সন্তান                    ভিপি সাদিক খাগড়াছড়িতে বেড়ে উঠা এক আলোকিত তরুন                    রাবিপ্রবিতে ষ্টার্টআপ এন্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়থ বিষয়ক সেমিনার                    আশিকা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি                    রাবিপ্রবিতে অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কর্মশালা                    রাঙামাটিতে সিপিবি’র নেতৃত্বে সমীর ও অনুপম                    পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য পুনঃস্থাপন ও সম্প্রদায়ের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষনে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন                    বিলাইছড়িতে তথ্য অফিস কর্তৃক নারী সমাবেশ                    রাঙামাটিতে কলা গাছের আঁশের স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রদর্শনী ও উদ্বোধন                    রাঙামাটিতে পুষ্টি পরিষেবার ঘাটতি পূরণে জন্য স্থানীয় লাইন বিভাগের সাথে সভা                    রাঙামাটিতে দুই বান্ধবীর একসাথে বিষপানে একজনের মৃত্যু,আরেকজন গুরুত্বর অসুস্থ                    রাঙামাটিতে সেনা অভিযানে জেএসএসের সশস্ত্র সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার                    রাঙামাটিতে সনাকের বলপিয়ে আদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসিজি’র গ্রুপ গঠন                    রাঙামাটিতে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত                    জীববৈচিত্র্য পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় সবুজায়নের খাগড়াছড়িতে চারা বিতরণ                    রামগড়ে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা                    
 
ads

রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে দুদিনব্যাপী বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গণসংগীত উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 08 Jun 2015   Monday

সোমবার থেকে দুদিন ব্যাপী  রাঙামাটিতে  শুরু হয়েছে ব্যাপী প্রথম বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গণসংগীত উৎসব।

ছিড়ে ফেল দৃঢ় হাতে চক্রান্তের জাল শ্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস। প্রধান অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়। উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুনীল কান্তি দে-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ফকির সিরাজ। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কালায়ন চাকমা। 

উৎসবে পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং ঢাকা থেকে মোট ৭টি সাংস্কৃতিক দল অংশ নিয়েছে। প্রথম দিনে সুরনিকেতন, গিরিসুর শিল্পী গোষ্ঠীসহ ঢাকা থেকে আগত সাংস্কৃতিক দল সংগীত পরিবেশন করে।

উদ্ধোধকের বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি  গোলাম কুদ্দুস বলেন, গণ মানুষের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম তা হল গণসংগীত। সংস্কৃতি অন্যায়ের সাথে কোন অপোষ করে না। করোর মুখাপেক্ষি নয়। সংস্কৃতি কর্মীরা বিনোদন কর্মী হতে যায় না। সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে থাকতে চায়। সম্পাদিত পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন চাই উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য চুক্তি কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা সংখ্যা আমরা জানতে চায় না। আমরা পার্বত চুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায় চায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের যে সব জনগোষ্ঠী রয়েছেন তাদের আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী  নামেই ডাকি না কেন তাদের বিকশিত করার দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের। তিনি জাতি ধর্ম নির্বিশেষ সকলকে গণসংগীত এবং সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক ভুমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন,গণসংগীত হচ্ছে মানুষের ঐতিহ্য কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ঠিকিয়ে রাখার চর্চা করা। ভাষা অধিকারের সংগ্রাম থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগ্রামের ক্ষেত্রে গণসংগীতের ভুমিকা ছিল।  তিনি  আরও বলেন, মানুষের সামষ্টিক সত্ত্বা ঐতিহ্য ও অধিকার নিয়ে কাজ করে তা হল গণসংগীত। পার্বত্য চট্টগ্রামে  বিভিন্ন অধিকার নিয়ে পাহাড়ী বা জুম্ম জাতির রয়েছে তাদের স্ব-স্ব ভাষায় রচিত হয়েছে গণসংগীত।  বাংলায় যেটা বলা হচ্ছে গণসংগীত। সেই গণসংগীত অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সংগীত শিল্প রয়েছে সেগুলো কতটুকু এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি জাতীয় পর্যায়ের গণ সংগীত অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব থাকে এবং প্রগতিশীল ভূমিকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সমতলের আদিবাসীদের স্বকীয়তা, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি যথাযথভাবে উঠে আসে তার আশা প্রকাশ করেন।

গণসংগীত সাধারনত: গ্রামের দিক থেকে এসেছে এবং শহরের আধুনিক সংগীত নিয়ে থাকে উল্লেখ তিনি বলেন, এ গণসংগীতের অনুষ্ঠান গ্রামের করতে পারলে ভালো হত। কিন্তু যোগাযোগের সমস্যার কারণে গ্রামে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে গ্রামীণ পরিবেশের এ গণসংগীত অনুষ্ঠান করতে পারলে ভাববিনিময় ও সংগীত রচনা করাসহ গ্রামের মানুষকে সম্পৃক্ত যেতো। কিন্তু যোগাযোগের সমস্যার কারণে শহরে এসব অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে। তিনি এ উৎসবের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় গণসংগীতের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।   

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিঅার.

 

 

 

ads
ads
আর্কাইভ