বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের সংরক্ষিত মাতামুহুরী বনের দুর্গম ইন্দুমুখ মুরুং চিতা থেকে গেল ১৫ অক্টোবর গরু ব্যবসায়ীর মোঃ হেলাল মিয়ার গলা কাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আলীকদম থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহতের বড় ভাই মোঃ ইলিয়াছ বাদী হয়ে নয়জনকে আসামী করে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনা পুলিশ এজাহার নামিয় ছয়জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো, মেন চুক ম্রো(১৮), মান ইন ম্রো(২৬), লুহুক ম্রো(২৯), মেনতা ম্রো(২৪), কংতং ম্রো(৩০) ও মাং অং ম্রো(২২)।
আলীকদম থানার উপপরিদর্শক(এসআই) মোঃ আজমগীর জানান, নিহত হেলাল মিয়া পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। সে ১অক্টোবর উপজাতী মুরুংদের কাছ থেকে গরু কিনতে দুইলক্ষ টাকা নিয়ে উপজেলার দুর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নে যায়। সে পোয়ামূহুরী বাজারের বাবুলের ভাতের দোকানের মালিক মোঃ বাবুলের কাছে টাকা জমা ও দোকানে রাত যাপন করতো। প্রয়োজন মতো বাবুলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় গিয়ে গুরু ক্রয় করে পোয়ামুহুরী বাজারে এনে জড়ো করতো। গত ৬ অক্টোবর সকালে গরু কিনতে ইন্দুমুখ এলাকায় যায় হেলার মিয়া। এর পর সে আর পোয়া মুহুরী বাজারে ফিরে আসেনি। এরপর তার শুভাকাংঙ্কিরা তার বাড়িতে খবর দেয়। এর পর হেলালরে ভাই ইলিয়াস, জালালসহ আরো অনেকে মিলে খুঁজতে যায় ঐ এলাকায়। গত ১৫ অক্টোবর দুপুরে ইন্দুমুখ মুরুং চিতায় হেলালের গলাকাটা ও অর্ধগলিত অবস্থায় লাশ দেখতে পায়।
আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ রফিক উল্লাহ বলেন, গরু ব্যবসায়ী হেলাল মিয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এজাহারনামীয় ছয়জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.