করোনা পরিস্থিতিতে ধসের মূখে পড়েছে খাগড়াছড়ি পর্যটন ব্যবসা। বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে পর্যটনশিল্প নির্ভর ব্যবসায়ী ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা। এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত পর্যটন নির্ভর ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় চিন্তিত এ খাতের সাথে জড়িতরা। তারা এ খাতে প্রণোদনা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে, জনশূন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রাকৃতিক পরিবেশ সতেজ হয়ে উঠেছে।
খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো বছরের প্রায় সব সময়ই থাকে জমজমাট। অথচ এখন খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাংঝর্না, রহস্যময় গুহা, জেলা পরিষদ পার্ক ও সাজেক প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র গুলো এখন একেবারেই সুনশান নিরবতা। মহামারী করোনায় ফের আঘাত হেনেছে পর্যটন খাতে। থমকে গেছে সবকিছু। এই বছরও করোনার কারণে বৈসাবি উৎসব থেকে শুরু করে ঈদের ছুটি পর্যন্ত সব পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ ছিলো। ফলে কর্মহীন ও বেকার হয়ে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা। অলস সময় কাটছে হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরা এবং পরিবহনের শ্রমিক ও কর্মচারীদের।
প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে যখন পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে; ঠিক তখনই গেলো ১ এপ্রিল থেকে প্রশাসন স্থানীয় সব পর্যটন স্থাপনা বন্ধ করে দেয়। ফলে গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে এখাতে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্যটন স্থাপনা বন্ধ থাকায় খাগড়াছড়ি আর সাজেকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যটক না থাকায় খোলা জীপ ও পিকআপসহ যানবাহনগুলোর মালিক ও শ্রমিকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। তারা পর্যটন খুলে দেয়ার পর এখাতে প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন করোনার কারনে পর্যটক নির্ভর বিভিন্ন হোটেল ব্যবসায়ী ও হোটেলের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা বিপুল ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন। হোটেল বন্ধ থাকায় তাদের বেতন দিতে হিমসিম হেটে হচ্ছে হোটেল মালিকদের। তাই তিনি এ খাতে সরকারের নিকট প্রনোদনা দাবী জানান।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন সরকারের নির্দেশনা মেনে দীর্ঘ সময় ধরে জেলা পরিষদ পার্ক ও আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকার কারনে জেলা পরিষদ পার্ক ও আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের সমাগম না থাকায় গাছ পালাগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে। ফুলে ফলে ভরে উঠেছে সেগুলো। তাই কর্মীরা আপাতত ফুল আর ফল গাছের পরিচর্যায় সময় কাটাচ্ছেন।
---হিলবিডি/সম্পাদনা/এস ই