বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিন ব্যাপী রাঙামাটিতে প্রথম ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল শুরু হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত পাহাড়ীদের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য ও সংস্কৃতির প্রতিফলন এবং সকল সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে এ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী ষ্টেডিয়ামে ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন দীপংকার তালুকদার এমপি। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান, রাঙামাটি রিজিযন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রæ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, সাবেক রাষ্ট্রদুত আব্দুলাহ আল হাসান, তারেক রেহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠনে স্বাগত বক্তব্যে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ।
এর আগে ম্রো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী প্লুং (বাঁশি) বাজিয়ে অতিথিদের বরণ করা হয়। পরে অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে ফেষ্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন।
তিন দিন ব্যাপী ফেস্টিভ্যালে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চগ্যা, বাঙ্গালি, অহমিয়া, খেয়াং, খুমি, গুর্খা, চাক, পাংখোয়া, বম, লুসাই, রাখাইন, সাঁওতালসহ ১৬টি সম্প্রদায়ের তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক অলংকারসহ বাহারি খাবার ষ্টল দিয়ে অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি আয়োজিন করা হয়েছে পাহাড়ী সম্প্রদায়ের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথম দিনে বিপুল সংখ্যক দর্শকদের সমাগম ঘটেছে।
দীপংকর তালুদার এমপি তার বক্তব্য বলেন, খাদ্য ও সংস্কৃতির কোন সীমান্ত নেই। এটিকে আরো প্রচার প্রসার ঘটাতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞ ও স্বপ্ন ৪১ সালের মধ্য স্মাট বাংলাদেশ গড়ার। সে লক্ষ্য ম্মার্ট সরকার, ম্মার্ট অর্থনীতি স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী খাদ্যকে প্রকাশ করতে হবে বা কারো না কারোর কাছে বারংবার তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে। তা না হলে আসতে আসতে তা বিলুপ্তি হয়ে যাবে। কেউ আর চিনবে না। তাই সকলের মানুষের মাঝে ঐক্যে বন্ধনের মানসিকতা রাখতে পারি তাহলে আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য অবশ্যই পূরণ হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.