গেল ৫ দিন ধরে লামা উপজেলার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত ছাত্রীর মা মিনারা বেগম বাদি হয়ে বৃহস্প্রতিবার লামা থানায় একটি ডায়রী দায়ের করেছেন।
নিখোঁজ মমিনা আক্তার (১২) উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের বটতলী এলাকার সিরাজুল ইসলাম ও মিনারা বেগমের মেয়ে। সে গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
থানায় দায়েরকৃত জিডি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গেল ২০ মে সকাল সাড় ৮টার সময় সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া মমিনা আক্তার(১২) বিদদ্যালয়ে কোচিং পড়তে বাড়ী থেকে বাহির হয়। বিদ্যালয়ে এসে কোচিংয়ের পড়া শেষে দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় বাড়ীর উদ্দ্যেশ্যে রওনা হলেও মমিনা আক্তর আর বাড়ী ফিরেনি। কোচিং শেষ করে নির্দিষ্ট সময়ে মমিনা আক্তার বাড়ীতে না আসায় তার মা মিনারা বেগম বিদ্যালয়ে খোঁজতে যায়। সেখানে না পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু গেল পাঁচ দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর মমিনার খোঁজ না পেয়ে বৃহস্প্রতিবার লামা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করা হয়।
নিখোঁজ মমিনা আক্তারের মা মিনারা বেগম জানান, বাড়ী থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। সকাল সাড়ে আটটার সময় তার মেয়ে মমিনা আক্তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মালেকের কাছে কোচিং লেখাপাড়া করতে বিদ্যালয়ে যায়। কোচিং শেষে মমিনা আক্তার আর বাড়ীতে ফিরেনি। পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে তিনি বাদি হয়ে ২৪ মে বৃহস্পতিবার লামা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী মমিনা আক্তারের মা মিনারা বেগম বৃহস্প্রতিবার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.