অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলো খাগড়াছড়ি নতুন কুড়ি ক্যান্টমেন্ট স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী। বুধবার সকালে স্কুলে কার্যক্রম শুরুর পূর্বে শিক্ষার্থীরা আসার সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সরকারী গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারালে এ ঘটনা দেখা দেয়। তবে চালক দক্ষতার সাথে বড় ধরনের দুঘর্টনা ঘটার আগেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হন।
জানা যায়, স্কুলটি খাগড়াছড়ি সদরের কালেক্টটরিয়েট এলাকার একটি টিলার ঢালু জায়গায় অবস্থিত। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে, স্কুলের সম্মুখে রাস্তাটি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার সময়ে বাঁশ দিয়ে বেড়িকেট দেয়। কিন্তু বুধবার সকালে খাগড়াছড়ির জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সরকারী গাড়ি তার সন্তানকে স্কুলে পৌছে দেয়ার উদ্দেশ্য অন্য রাস্তা দিয়ে টিলার উপর উঠে যায়। টিলার থেকে নামার সময় গাড়ী নিয়ন্ত্রন হারায়।এ সময় গাড়ীর চালক কোনমতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। গাড়িটি নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে স্কুলগামী শতাধিক শিক্ষার্থীদের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। এতে আলুটিলা ঘটনার মতো আরো একটি ট্রাজেটিক ঘটনা ঘটতো।
উপস্থিত কয়েকজন অভিবাবক বলেন, চালক গাড়ীটি যদি নিয়ন্ত্রন করতে না পারতেন তাহলে শতাধিক শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়ে যেতো। গাড়ীটি অনেক পুরানো তার মধ্যে সরকারী গাড়ী।
গাড়ীর ড্রাইভার শান্তি বিকাশ চাকমা বলেন,তিনি ছোট চাকুরী করেন। স্যার যেদিকে যেতে বলেন সেদিকে যেতে হয়। তাই সকালে স্যারের সন্তানকে স্কুলে দিতে এসেছি। এসেই এই দুঘর্টনার শিকার হয়েছি। ভাগ্যে ভালো স্কুল গেইট পৌছে গাড়িটি রাস্তা বাম পাশের্^ নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছি। গাড়ীতে স্যারের সন্তান ও স্ত্রী ছিলেন।
খাগড়াছড়ির জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, আসলে বড় একটা দুঘর্টনা থেকে সবাই বেঁচে গেছি। দুঘর্টনা ঘটেনি এটা আমাদের সৌভাগ্য।
খাগড়াছড়ি নতুন কুড়ি ক্যান্টমেন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুশদীনা আক্তার জাহান বলেন ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এ ধরনে দুঘর্টনা এড়াতে অভিভাবক,শিক্ষাথীসহ সকলের সর্তকতা ও সচেতনতার প্রয়োজন। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিষয়ে আরো কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করা যায় তা ব্যবস্থা নেবেন আশা করি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.