খাগড়াছড়িতে কলেজ ছাত্রী ইতি চাকমা হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ মনোতোষ চাকমা (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে । বুধবার দুপুরে জেলা শহরের কলেজ গেইট এলাকা থেকে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ হান্নানের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আটক মনোতোষ চাকমা দীঘিনালা উপজেলার বিরেন্দ্র চাকমার ছেলে।প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে পুলিশ তার কাছ থেকে কলেজ ছাত্রী হত্যাকান্ডের গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়েছে।
তিনি আরো জানান,হত্যাকান্ডের আগের দুই রাত ২৭ ও ২৮ ফেব্রয়ারি সে কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে ছিলেন ।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইতি চাকমার বড় বোন স্কুল শিক্ষিকা জোনাকি চাকমা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মাসুদ আল চৌধুরী মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, পুলিশ এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে। খুব শ্রীঘ্রই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল সোমবার রাতে খাগড়াছড়ি শহরের প্রাণ কেন্দ্র আরামবাগ এলাকায় সরকারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র ইতি চাকমাকে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ইতি চাকমার বাড়ী দীঘিনালা উপজেলার ছনখোলা গ্রামের মৃত অন্তরিন্দ্রীয় চাকমার মেয়ে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ইতি চাকমা সবার ছোট।
সে তার বড় বোন জোনাকি চাকমা ও ভগ্নিপতি অটল চাকমাসসহ খাগড়াছড়ি শহরের শান্তি নগরেরর আরামবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বড় বোন দীঘিনালা উপজেলার বানছড়া আনন্দময় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.