ইউরোপীয় ইউনিয়নের(ইইউ) উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার থেকে রাঙামাটিতে দুদিনের সফর করছেন। সফরকালে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চাকমা সার্কেল চীফের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন।
ইইউ-এর ১৫ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ-এর রাষ্ট্রদূত পিয়ারে মায়াউধন। দলের অন্যমত সদস্যরা হলেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট উইলিংটন গিফসন,ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যানে ফুকলেক্যাসার, ইতালীর রাষ্ট্রদূত মারিও পালাম, জার্মানীর রাষ্ট্রদূত ডা.থমাস প্রিন্স, সুইডেনের হেড অফ মিশন কেরিন ম্যাগডনাল রাষ্ট্রদূত জাতি সংঘের বাংলাদেশের নিযুক্ত ডেপুটি ডাইরেক্টর নিক ব্রেসফোর্ট। প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সুইডেন এর হেড অফ মিশন কেরিং ম্যাগডনাল,স্পেন হেড অফ মিশন প্যাট্রিক স্যান্ডবাল নিকোলা, সুইডেনের সেকেন্ড সেক্রেটারী মাজা এডফাস্ট,ইইউ ডেলিগেশনের মিনিষ্টার কনসুলার মারিও রনকনি,ইইউ ডেলিগেশনের এ্যাটাশে ফ্যাব্রজিও সেনসি,ফ্রান্সসেসকা সিকো মারিনো,ইউএডিপি-সিএইচডিএফ-এর পরিচালক হেনরিক ফ্রেডব্রক লারসেন, ইউএডিপি-সিএইচ ডিএফ প্রকল্পের প্রধান বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবার্ট ষ্টলমেন।
সূত্র মতে,প্রতিনিধি দলটি সকালের দিকে প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার(সন্তু লারমা) সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় সন্তু লারমা ইইউ প্রতিনিধি দলকে সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতিসহ পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়িত না হওয়া এবং চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। এসময় ইইউ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে অনুরোধ জানাবেন এবং আগামী ৭ বছরের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি, কারিগরী শিক্ষা এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান। তাই কাজের যাচাইয়ের জন্য তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সফর করছেন। পরে প্রতিনিধি দলটি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংশিপ্রু চৌধুরী এবং চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
এদিকে প্রতিনিধি দলটি দুপুরের ভেদভেদী কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। সভায় পুলিশ সুপার তারেক সাঈদ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন ইইউ-এর রাষ্ট্রদূত পিয়ারে মায়াউধন। এসময় তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে শান্তি। নিরাপত্তা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। ১৯৯৭ সালের স্বাক্ষরিত পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাকী ধারাগুলো বাস্তবানের সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবেন। তিনি আরও জানান, ইইউ-এর অর্থায়নে ইউএনডিপির সহায়তা পার্বত্য চট্টগ্রামে দারিদ্র বিমোচনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ করছে। ইতোমধ্যে এসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাই সেগুলো কতটুকু এখানকার জনগনের উপকারে এসেছে তা দেখতে এসেছি। তিনি বলেন এখান মানুষের উন্নয়ন ইইউ থেকে ৭ বছরের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি, কারিগরী শিক্ষা এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে। কাজের যাচাইয়ের জন্য তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সফর করছেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে প্রতিনিধি দলটি ইউএনডিপির পরিচালিত কয়েক প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.