পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্যাঞ্চলে বিশেষ শাসন ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে উঠতে পারেনি। এখনো পর্ষন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী অধিবাসীরা নানান সীমবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্রিয় বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু রারমা)।
তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি আলোকে পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন প্রতিষ্ঠা ফেলেও জেলা পরিষদের সকল কার্যাবলী প্রতিষ্ঠা পায়নি। তার মধ্য অন্যতম ক্রীড়া উন্নয়নে জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরের কথা থাকলেও আজো অবধি এ বিষয়টি জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেনি সরকার। তাই জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তর হওয়া ও কার্যকর করার এটি সময়ের দাবী এবং ক্রীড়াবিদেরও অন্যতম দাবী।
মঙ্গলবার রাঙামাটিতে তিন ব্যাপী তারুন্যের উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে চিংহ্লামং মারী ষ্টেডিয়াম মাঠে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং মারমা। সন্মানিত অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অবঃ) অনুপ কুমার চাকমা, সাবেক সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্না চাকমা, সাবেক যুগ্ন জজ দীপেন দেওয়ান, বিএনপির জেলা শাখার সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিমল কান্তি চাকমা।
পরে অতিথিরা ফুটবল খেলার চ্যাম্পিয় দল বরগাঙ কিংস ও ব্যাডমিন্টনে বিজয়ীদের হাতে ট্রপি ও চেক তুলে দেন। এর আগে বরগাঙ কিংস ও ফুরমোন হিল এর মধ্যকার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে খেলার দ্বিতীয়ার্থে ফুরমোন হিল ১-০ গোলে বরগাঙ কিংসকে পরাজিত করে শিরোপা লাভ করে।
সন্তু লারমা তার বক্তব্যে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক কিছু সীমাবদ্ধতা থাকার সত্বেও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারুণ্যে শক্তি তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। ফুটবল জগতে পার্বত্য চট্টগ্রামে উচ্চমানের ফুটবলার পেয়েছি। তারুণ্যে শক্তি ফুটবল জগতে এক অনন্য জগতে পৌছাতে তারা অপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। শুধু খেলাধুলা নয় সকল ক্ষেত্রে পার্বত্যাঞ্চলের যে জীবনধারা রয়েছে তার উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধ করতে সবাইকে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
--হিলবিডি/সম্পাদনা/সিআর.