খাগড়াছড়িতে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তোরণের উপায় নিয়ে রোববার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিশেষ আইনশৃংখলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: খাদেমুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, পাহাড়ি নেতা রশি শংকর তালুকদার, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছারসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা এবং অবরোধকে কেন্দ্র করে এখনো খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি থমথমে। সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা কাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি ও পুলিশ মাঠে রয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। এরমধ্যেই বেলা ১১টার দিকে জেলার গুইমারার রামসু বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন অবরোধকারী আহত হন। তবে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ধর্ষকদের গ্রেফতার, ক্ষতিগ্রস্ স্কুলছাত্রীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং হামলাকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ রোববার দ্বিতীয়দিনের মতো চলছে। জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে ডাকা অবরোধের কারণে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাত তিন জনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন যুবক শয়ন শীলকে আটক করে পুলিশ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.