বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বুধবার বিলােইছড়িতে আলোচনা সভা ও র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।
“প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুরজিত দত্ত, বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মানস বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওমর ফারুক প্রমূখ। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুবেল বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভাপতি ও বিশেষ অতিথি ছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন যুব রেড ক্রিসেন্ট এর উপ-টীম লিডার এবাদুল হক, বিলাইছড়ি বাজার কমিটি এর অর্থ সম্পাদক শুভাশীষ কর্মকার, রিপোর্টার অসীম চাকমা, উপজেলা কার্বারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জয়সিন্ধু চাকমা (কার্বারী)। আলোচনা সভার শুরুর আগে একটি বের করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন,পরের প্রজন্মকে সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে দিতে চাইলে, এখনি পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতন হতে হবে। তাই সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। এবং পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের বুঝানোর মাধ্যমে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করার অনুশীলন করাতে হবে । এভাবে বাড়িতে তারা তাদের অভিভাবকদেরও বুঝাতে সক্ষম হবে। এছাড়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বৃক্ষ রোপন না করে পরিবেশ বান্ধব গাছ লাগানোর জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, রাঙামাটি বা দেশের অন্যান্য এলাকার কথা চিন্তা নাকরে আমরা চাই বিলাইছড়ি আগে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও সুন্দর থাকুক । তাই প্রথমে বাজারে আগে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হবে। তবে নিষিদ্ধ বলতে উৎপাদন নিষিদ্ধ করা যাবে না। তবে পলিথিন ব্যবহার করবো না। প্রত্যেকে যে যার জায়গা থেকে পলিথিন ব্যবহার করবেন না। একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সে নিজেই কিছুই না। আপনারা যখন সহযোগীতা করবেন তখন সে অনেক কিছু। তাই এখানে যারা উপস্থিত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন তারা যদি যে যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসেন এবং আপনাদের পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে উদ্যোগ নেন, বিশ্বাস করি হয়তো একশত ভাগ বন্ধ করতে পারবো না। তবে মোটিভেশনে যদি আমরা দশভাগও বন্ধ করতে পারি তাহলে বিশ্বাস করি আস্তে আস্তে পর্য়ায়ক্রমে পারবো।
উপজেলা প্রশাসন থেকে যে ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে তা সকলের সহযোগীতা কামনা করে আরো বলেন, এ বিলাইছড়ি উপজেলাকে যেনো বাংলাদেশের একটি মডেল উপজেলা হিসেবে পরিণত করতে পারি। একটা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন উপজেলা , একজন পর্যটকও ভ্রমণে আসেন তিনি যেনো চিন্তা করতে পারেন যে এখানে সে পদার্পন করার পরে লজ্জিতবোধ করে যে সে কেন পলিথিন নিয়ে এসেছে। সে নিয়ে আসলেও সে সেথাকে কিভাবে রাখবে এ দায়িত্বতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ কার্যমটি বিলাইছড়ি বাজার থেকে শুরু করা হবে। আশাকরি বিলাইছড়ি বাজার কমিটি সর্বাত্বকভাবে সহযোগীতা করবে। তবে তারাও ইতিমধ্যে তারা শুরুও করেছেন। তাই এই উদ্যোগতা পুরো বিলাইছড়ির মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.