আগামী ৩০ জুনের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে সকল নিয়োগ ও শিক্ষাবৃত্তি বিতরণে জনসংখ্যানুপাতে বন্টনের ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। অন্যথায় পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর এ বৈষম্যনীতির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি শহরে এক রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, এসএমজি আজম, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদা আক্তার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের নেতা মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ যাত্রা শুরু হলেও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো আগের বৈষম্যমূলক নিয়োগনীতি বহাল রেখেছে। সরকার ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারি করে সকল নিয়োগে মেধা ও সংরক্ষিত কোটা ব্যবস্থা নিশ্চিত করলেও তা মানা হচ্ছে না। বর্তমানে বৈষম্য বিরোধী চেতনায় অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়েও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আগের মতোই বৈষম্যনীতি নিয়ে এখনো উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার দিয়ে সকল নিয়োগে বৃহত্তর জনগোষ্টি বাঙালিসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠির প্রার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.