পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয় বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা প্রকৃতির কাছে আমরা একে একে সবাই অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, কোন না কোন কারণে প্রকৃতিকে আমরা ধ্বংস করে যাচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ৮০ সাল পর্ষন্ত বন, গাছপালা,ছোপঝাড় ছিল এখন এমন অবস্থা দাড়িয়েছে যে কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ এদেশের বৃক্ষ নিধনের জন্য বন বিভাগ কোন অংশে দায়ী না। তার জন্য বন বিভাগকে দায়িত্বভার নিতে হবে কেন এ অবস্থায় দাঁিড়য়েছে।
শনিবার রাঙামাটিতে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব একেএম আকমল হোসেন আজাদ, বন বিভাগের রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষ মোহাম্মদ আউয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা গাছ বিতরণ করেন। এর আগে উপদেষ্টা ফিতা ও বেলুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ২১টি ষ্টল অংশ নিয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা আরো বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য কোন কোন গাছগুলো প্রকৃতির জন্য উপকারী তার একটি জরিপ হওয়া দরকার। কারণ সরকার আকাশ মনি ও সেগুন গাছ লাগানো বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এ অঞ্চলে সেগুন গাছ লাগানো ঠিক হবে না। তবে হুট করে যদি বলা হয় সেগুন গাছ না লাগানোর পাশাপাশি জুম চাষ, মাটি ক্ষয় হয় কচু চাষ ও আদা-হলুদ চাষ করা যাবে না। সুতরাং এসব বন্ধ করার আগে সবাইকে একটা সমাধান বের করতে হবে। পাশাপাশি হর্টিকালটারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বনায়নে এগিয়ে যেতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বন বিভাগের এক প্রতিবেদনে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়রা বন্য প্রাণী শিকারে পেশা ও নেশা হিসেবে মনে করেন। কথাটি ঠিক না, কারণ বন্য প্রাণী শিকার কারোর নেশা ও পেশা না। তাই অতিদ্রুত এটির সশোধন করা উচিত। কারণ এতে এ অঞ্চলের লোকজন অপমানিত বোধ করবে। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্মুন্নত রাখা হচ্ছে সবচেয়ে জরুরী।
এদেশ যাতে ভালো থাকে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছেলে-মেয়েরা যে কারনে ত্যাগস্বীকার করেছেন সেটা যেনো সম্মুন্নত রাখতে পারি, ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে অসম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে প্রত্যেকের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত, সাম্য মৈত্রী ও নিরাপত্তা দিতে পারি এ সরকার মনে প্রাণে বিশ^াস করে। যাতে এদেশের সকল জনগোষ্ঠী ভালো করে থাকতে পারে, ভালো করে চলাফেরা করতে পারে। তবে তার জন্য বৃহত্তর জাতি গোষ্ঠীকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে যে আমরা সবাই ভাই ভাই।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.