রাঙামাটিতে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যত্রতত্র প্লাস্টিক বোতল, ট্যুরিস্ট বোটে ডাষ্টবিন না থাকা, রাস্তায় গবাদি পশুর বিচরণ, ফুটপাত দখল ইত্যাদি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। তিনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে নাগরিক প্রত্যাশা পুরণের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা পরিবেশ রক্ষায় অত্যন্ত সোচ্চার। সকল স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বানের পাশাপাশি ভেদভেদীর মুখে খোলা ডাম্পিং জোন নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বস্ত করেন।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি সেবাগ্রহীতাদের সাথে পৌরসভা কেন্দ্রিক পৌরবাসীর ভাবনা, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা শীর্ষক কর্মশালায় কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পৌরসভা হলরুমে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সহযোগিতায় কর্মশালার সভাপত্বি করেন রাঙামাটি পৌর প্রশাসক মো: মোবারক হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, জেলা জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনছরুল হক,সনাক সভাপতি প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমা, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াসিন খন্দকার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে পৌর প্রশাসক মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, আমরা জনগণের প্রত্যাশা পুরণে বদ্ধ পরিকর। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় উত্থাপিত ইস্যুসমূহ নিয়ে সঠিক পরিকল্পনায় কার্যক্রম পরিচালনা করলে একটি জনবান্ধব পৌরসভায় পরিণত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
কর্মশালার দ্বিতীয় অধিবেশনে উন্মুক্ত আলোচনায় সেবাগ্রহীতারা জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ ভুল করা, নিয়মিত ময়লা অপসারণ না করা, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা, অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করা, সড়ক বাতি দেয়া, কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করা, প্লাস্টিকের বদলে পৌরসভা কনফারেন্স টেবিলে কাচেঁর বোতল ব্যবহার করা, যৌক্তিক কর আরোপ ও যথাযথ আদায় করা, গবাদিপশু বিচরণ, বেওয়ারিশ কুকুর, ভাসমান মানসিক প্রতিবন্ধি (বিশেষ করে নারী মানসিক প্রতিবন্ধি), বিভিন্ন স্থানে সড়ক মেরামত করা, এলাকায় সচেতনতামূলক সেশন পরিচালনা করা, ছাউনীযুক্ত ডাস্টবিন স্থাপন করা, পৌর মার্কেট সংস্কার করা, মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা, বাল্যবিবাহ রোধে পৌরসভা থেকে বয়স বেশী দেখিয়ে জন্মনিবন্ধন করানো বন্ধ করা, মশক নিধন নিয়মিত পরিচালনা করা, পর্যটকদের সচেতনতার জন্য কিছু বিলবোর্ড স্থাপন করা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, অবৈধ সিএনজি স্টেশন মুক্ত করা, শহরে টাউন বাস সার্ভিস চালু করা, বনরূপাস্থ কবরস্থানের পাশের ডাস্টবিন অপসারণ করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন করা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন পরিচালনা করা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা ইত্যাদি বিষয়ে উপর আলোকপাত করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.