পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক ও পার্বত্যাঞ্চলের সর্বপ্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ বৃহস্পতিবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন(ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০বৎসর। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, সন্তান, অসংখ্য স্বজন ও গুনাগ্রাহী রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাঙামাটিতে বিভিন্ন মহলের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ তবলছড়ির কন্ট্রাক্টর পাড়ারস্থ তাঁর গিরিদর্পণ কার্যালয়ে অফিস করার সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ অসুস্থবোধ করছিলেন। পরে তিনি নিজ বাস ভবনে চলে যাওয়ার পর রাত আনুমানিক নয়টার দিকে ব্রেইন স্ট্রোক করে মাটিতে পড়ে যান। তাৎক্ষনিতভাবে তাঁর স্বজনরা রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতালে কর্মত্যরত চিকিৎসক রাত ৯টা ৩৭ মিনিটের দিকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে রাঙামাটিতে কর্মরত সংবাদকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। রাতেই হাসপাতাল থেকে তবলছড়ির কন্ট্রাক্টর পাড়ারস্থ বাসভবনে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে নিজ বাস ভবন থেকে তাঁর মরদেহ রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে নেওয়া হয়। পরে শহীদ আব্দুল শুক্কর মাঠে তাঁর জনাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে তাঁর গ্রামের বাড়ী চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া গ্রামে নেওয়ার পর পারিবারিক শশ্মানে তাঁকে দাফন করা হয়। একেএম মকছুদ আহমেদ ৫৬ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন।
মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদ ১৯৭৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম সাপ্তাহিক বনভূমি ও ১৯৮৩ সালে দৈনিক গিরিদর্পণ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে রাঙামাটি প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম ও সাংবাদিকদের সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক জানিয়েছেন। তিনি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার একজন বাতি ঘর। তাঁর মৃত্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ একজন অভিভাবককে হারালো।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম মৃতঃ জামাল উল্লাহ ও মাতা জমিলা খাতুন।
--হিলবিডি/সম্পাদনা/সিআর.