৫ দিনে টানা বর্ষনে বান্দরবানের লামা উপজেলা সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ৫০ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া টানা বর্ষনের কারণে অনেক জায়গায় পাহাড় ধস ও জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ দিনে টানা বর্ষনে লামা উপজেলা সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫০ হাজার লোকজন্। বর্ষনের ফলে লামা বাজারের দেড় হাজারের অধিক দোকান পাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া অনেক জায়গায় পাহাড় ধস ও জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় লামা উপজেলা সদরে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি বন্দি লোকজনের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যায় উপজেলার অধিকাংশ সরকারী-বেসরকারী অফিস, এতিমখানা, স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা, মসজিদ,মন্দির ও গীর্জা পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো পর্ষন্ত দুর্গত এলাকার মানুষের সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসননের তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তবে বৃহষ্পতিবার থেকে লামা পৌরসভা ও এন.জেড. একতা মহিলা সমিতির উদ্যোগে বন্যা কবলিতদের মাঝে খিচুরী বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে,মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বর্ষনের কারণে ৫ দিন ধরে লামা উপজেলা বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে।
লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ আমির হোসেন বলেন, লামা পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পৌর এলাকার ৩ হাজার ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার বান্দরবান জেলা প্রশাসন থেকে লামা উপজেলায় বন্যা দূর্গত এলাকার জন্য ১৮ মে.টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুন নাহার সুমি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে উপজেলা প্রশাসনের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা সদরে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। খাদ্য গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। দুর্গতদের সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.