উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রোববার লামায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস) লামা উপজেলার শাখার উদ্যোগে লামা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির ভূমি বিষয়ক সম্পাদক বাবু চিংহ্লামং চাক। আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটির লামা শাখার আহবায়ক ও জেএসএস লামা উপজেলা শাখার সভাপতি অংগ্য মং মার্মার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন লামা মাতামুহূরী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিঃ অংথিং রাখাইন, লামা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংথোয়াই হ্লা মার্মা, জেএসএস লামা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার আসাম, জেএসএস লামা শাখার সহ-সম্পাদক চংপাত ¤্রাে, জনসংহতি আলীকদম শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বাচিংনু মার্মা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ লামা শাখার সাধারণ সম্পাদক উথোয়াইছা মার্মা ও জেএসএস’র নাইক্ষ্যংমুখ ইউনিট কমিটির সভাপতি মেংলং ¤্রাে প্রমুখ।
এর আগে একটি র্যালী লামা পালিটোল থেকে বের হয়ে লামা বাজারের পৌর শহর প্রদক্ষিণ শেষে বৌদ্ধ বিহারে এসে সবাই মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার আদিবাসীদের ক্ষুদ্র গোষ্ঠি বানিয়ে অপমান করে চলেছে। আদিবাসীরা আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতিত চাই। বক্তারা আরও বলেন,সরকারের দৃষ্টি ভঙ্গির দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে এলাকার কতিপয় কিছু ভূমি দস্যুরা আদিবাসীদের জায়গা জমি জবর দখল করে নিচ্ছে। ভূমি জবর দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত কিংবা মৌখিক বিচার নিয়ে গেলেও কোন বিচার পায়নি। বক্তারা বলেন, যেখানে প্রাথমিক ও কলেজ গুলোর যেই দূরবস্থা সেখানে সরকার মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সম্পূর্ণ চুক্তি বিরোধি। চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) মতামতকে উপেক্ষা করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাস্তবায়ন করা যা পার্বত্য চট্টগ্রামের সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
বক্তারা আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত ও প্রথাগত ভূমি অধিকারের দাবির পাশাপশি আদিবাসী অঞ্চলে সরকারী ও বেসরকারী কোন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে আদিবাসীদের স্বাধীন মতামত গ্রহণ এবং প্রকল্পে আদিবাসীদের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.