কাপ্তাই হ্রদে পানি বিপদসীমায় পৌঁছায় বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকাপট দিয়ে বুধবার রাত ১১টা থেকে ৩৬ ইঞ্চি (৩ফুট) করে অব্যাহতভাবে পানি ছাড়া হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি পড়ছে। ভারী বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে এ পানি ছাড়া হয়। পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা-রাইখালী ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র জানায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছায় প্রথম দয়ায় গেল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি গেই দিয়ে ৬ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হয়। হ্রদে পানি উচ্চতা আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার বাঁধের ১৬টি জলকাপট দিয়ে ১৮ ইঞ্চি ও তৃতীয় দফায় বুধবার দুপুরে ৩০ ইঞ্চি(আড়াই ফুট) করে পানি ছাড়া হয়। চতুর্থ দফায় বুধবার রাত ১১টায় স্পিলওয়ের ১৬টি জলকাপট দিয়ে ৩৬ ইঞ্চি(তিন ফুট) করে পানি ছাড়া হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৫৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা রয়েছে ১০৮.৭৬ ফুট মেইন সি লেভেল (এমএসএল)। বাঁধের সর্বোচ্চ পানির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ১০৯ ফুট এমএসএল। বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় কর্ণফুলীর নদীর পানি বৃদ্ধিতে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী ফেরী চলাচল বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় রাঙামাটি-বান্দরবান-রাজস্থলী সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা আরো বৃদ্ধিতে বুধবার রাত ১১টা থেকে ৩৬ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.