বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এর ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান ভন্ডুলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বিক্ষোভ-সমাবেশে করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিপুল চাকমার স্বাক্ষরিত একপ্রেস বার্তায় বলা হয়, পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে ডিসি হিল থেকে মিছিল শুরু হয়ে চেরাগী পাহাড়ে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র সভাপতি থুইক্যচিং মারমা ও সাধারণ সম্পাদক রিটন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে ২০ মে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে নেতাকর্মীদের তাড়িয়ে দিয়ে সমাবেশের স্থান জে.এম.সেন হল দখল করে পিসিপি’র ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকল কর্মসূচি ভন্ডুল করে দেয়। এসময় পুলিশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ব্যানারও কেড়ে নেয় এবং পিসিপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়।
বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ শুধু সমাবেশ বানচাল করেনি, তারা বিকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নির্ধারিত কর্মসূচি ভন্ডুল করার প্রতিবাদের প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের সময় পিসিপি নেতা কর্মীদের আটকের চেষ্টা চালায়। তারা পিসিপি নেতাকর্মীদের প্রেসক্লাবের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং সংবাদ সম্মেলনে আসা ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি সমিউল আলমকে আটকের চেষ্টা করে। কিন্তু মিডিয়া ও রাজনৈতিক কর্মীদের তোপের মুখে তারা আটক করতে পারেনি।
বক্তারা প্রশাসন কর্তৃক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ভন্ডুল করা পার্বত্য চট্টগ্রামে মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং দমন-পীড়নের একটি ধারাবাহিক অংশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরোপিত ১১ নির্দেশনা জারির পর পাহাড়ে দমন-পীড়ন বাড়ানো হয়েছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা, সরকার যদি এভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয় এবং দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র ও যুবসমাজ তার উপযুক্ত জবাব দিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.