জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবিতে শুক্রবার রাজধানীতে র্যালী ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠন।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের রিপন বানাই স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, আগামী ৯ আগস্ট বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ ঘোষিত ২১তম আদিবাসী দিবস উদযাপিত হবে। এ দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবীতে শুক্রবার শাহাবাগের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে সমাবেশ করে। এতে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারন সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং-এর সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, নুমান আহাম্মদ খান, রাজীব মীর, দীপায়ন খীসা ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে একটি র্যালী বের করা হয়।
বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আদিবাসীদের রাষ্ট্র যেমন ক্ষুদ্র বলে তেমনি আদিবাসীদের এ দাবিও ক্ষুদ্র। রাষ্ট্র যেকোন সময় ইচ্ছা করলেই এ দাবি মেনে নিতে পারে। দেশে নানান ধরনের দিবস পালিত হয় কিন্তু আদিবাসী দিবসটি গুরুত্বপূর্ন হলেও রাষ্ট্র তা পালন করে না। অথচ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের এটা পালন করার কথা। তিনি আরও বলেন, যে কোন সরকারের একটা চরিত্র তাকে তা গনতন্ত্রই হোক বা অন্য কোন হোক কিন্তু আমাদের দেশের চরিত্র দেখে মনে হচ্ছে এর কোন চরিত্র নেই এটা যেন চরিত্রহীন রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। তিনি আদিবাসীদের এ ন্যায্য দাবিকে মেনে নিতে রাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী নেতা সঞ্জীব দ্রং বলেন, বিভিন্ন সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ এমনকি সরকার প্রধানগণ আদিবাসী দিবসে বাণী দিয়েছেন। আদিবাসী হিসেবে তাদের সকল অধিকার পূরনের আশ্বাষ দিয়েছেন কিন্তু তারা সেটা ভুলে গেছেন। তিনি আদিবাসীদের এ দাবিকে মেনে নিয়ে আদিবাসী মানুষের প্রতি মানবিক আচরনের আহবান করেন।
প্রেস বার্তায় অারও বলা হয়, ১৯৯৩ সালকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আদিবাসী বর্ষ ঘোষণা করেছিল। এ বছর জাতিসংঘ সদর দফতরেও এই দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বাণী প্রদান করবেন। প্রতি বছর জাতিসংঘ তার সদস্যরাষ্ট্রসমূহকে আহ্বান জানায় এই দিবস পালন এবং আদিবাসী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য। এই ধারাবাহিকতাই, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দিবসটি পালন করে আসছে এ বছরও তারা যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে পালন করা হবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় রাষ্ট্রীয়ভাবে নানান দিবস পালিত হলেও আদিবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসটি পালনের সরকারি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় না বরং দিবসটি পালনে নানা প্রকার বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বিগত সময়ে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.