সোমবার বিজিবি’র(বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ৮৭তম ব্যাচ রিক্রুটদের সমাপনী কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবির একমাত্র প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড স্কুলে এ কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুজকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহন করেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ ছিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিবি”র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আজমল কবির, চট্রগ্রামের ভাটিয়ারী মিলিটেরি একাডেমীর কমান্ড্যান্ট,মেজর জেনারেল জাহাংগীর কবির তালুকদার, ২৪পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ শফিকুর রহমান, রামু ১০পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সরওয়ার হাসান,বায়তুল ইজ্জত ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, চট্টগ্রাম আর্টিলারী সেন্টার এন্ড স্কুলের জি কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গাজী মোঃ সোলায়মান, বিজিবি’র চট্টগ্রাম পূর্ব রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হাবিবুল করিম, চট্টগ্রাম জি শাখার অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নজরুল ইসলাম, বান্দরবান ৬৯পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদ চেীধুরী।
অনুষ্ঠানে সেনানিবাসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সামরিক ও বিজিবির উর্দ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন,পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন সৈনিকদের অভিবাবকবৃন্দ উপস্থিত থেকে সমাপনী কুজকাওয়াজ উপভোগ করেন।
কুজকাওয়াজে প্যারেড কমান্ডার ছিলেন, মেজর মোঃ তারিকুল ইসলাম এবং প্যারেড এ্যাডজুটেন্ট সহকারী পরিচালক মোঃ ছোরহাব উদ্দিন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ৮৭তম রিক্রুট ব্যাচের ১ হাজার জন নবীন সৈনিকদের মধ্যে বিষয় ভিত্তিক প্রথম স্থান অর্জনকারীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন।
প্রধান অতিথি কুজকাওয়াজ পরিদর্শন করে দক্ষতার সাথে সীমান্ত সুরক্ষা এবং সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, নারী ও শিশু পাচার রোধ, সীমান্ত অপরাধ দমন, চোরাচালান প্রতিরোধ, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় বিজিবি’র সৈনিক এবং কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আজ থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর একজন সদস্য হিসেবে তোমাদের উপর অর্পিত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব।
তিনি বিজিবি-কে একটি দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একটি বলিষ্ঠ ও দক্ষ বাহিনী গড়ে তোলার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কঠোর প্রশিক্ষণ ,সৎচরিত্র, মানসিক দৃঢ়তা, অধ্যবসায়, শৃঙ্খলাবোধ এবং সঠিক নেতৃত্ব।, দু শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আরো যুযোপযোগী ও কার্যকরী করে তোলার লক্ষে বর্তমান সরকার সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন বলে তিনি বলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.