বান্দরবানের লামায় বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী লোকজন এবং হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
লামা উপজেলা পরিষদের সামনো সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নে সভাপতিত্ব করেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অর্পন মহাজন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অংগ্য মার্মা, চংপাত ম্রো, মংচাই মার্মা, চিংছাই মার্মা সহ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দূষিদের শাস্তি দাবী করে এলাকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দাবি জানান।
অভিযোগে জানা যায়, গেল ২ অক্টোবরবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের জনৈক আজিম, জসিম, কালাম, লুৎফর, শাহ আলম ও জাকের হোসেন মজুমদারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/৩০ জন বহিরাগত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বনপুর বাজারস্থ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জায়গায় অনাধিকার প্রবেশ করে বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুর করে। ৪ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানি হলে, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লামা থানা ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংন্থার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথে তিনি দ্রুত ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ বিহারে যান। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত বৌদ্ধ ধর্মের নেতৃবৃন্দদের সাথে আলাপ আলোচনা করেছেন। পুলিশকে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.