বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বিজিবি ত্রিশডেবা বিওপি ক্যাম্প প্রত্যাহারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ।
বিজিবি ত্রিশডেবা বিওপি ক্যাম্প প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ফাঁসিয়াখালী বনপুর বাজারে স্থানীয় ৫শতাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। এতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে অংশ গ্রহনকারী জানান, ৩১ বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের অধিনস্থ লামা ত্রিশডেবা বিওপি ক্যাম্পটি সরকারী সিদ্ধান্ত মতে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই সংবাদ জানার পর ক্যাম্পটির আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ প্রত্যাহার আদেশ বাতিলের দাবিতে তারা এই মানবন্ধনে অংশ গ্রহন করেছেন।
স্থানীয় লুৎফুর রহমান, মোঃ আবুল কালাম ও মির আহমদ মিলন জানান, ১৯৮৩-৮৪ সালের দিকে ত্রিশডেবা বিওপি বিজিবি ক্যাম্পটি স্থাপিত হয়। এই ক্যাম্পটির আশপাশে ৪১টি বাঙ্গালী পাড়া ও ২৫টি পাহাড়ী পাড়া রয়েছে। ক্যাম্পটি স্থাপন হওয়ার পর থেকে আমরা নিরাপত্তার সাথে জীবন যাপন করতে পারছেন। এই মুহুর্তে ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া মানে ত্র এলাকার প্রায় ১৬ হাজার বাঙ্গালী ও ৭ হাজার পাহাড়ী জনগণকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া। আমরা এখন রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি। ক্যাম্পটি না থাকলে সন্ধ্যার পর এই এলাকাটি দুষ্কৃতিকারীদের অভয়রাণ্যে পরিণত হবে।
তিনি আরো জানান, এই ক্যাম্পটি চলে গেলে অত্র এলাকায় চাদাঁবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, অপহরণ, খুন, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যাবে। কারণ এই অঞ্চলটি দূর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় প্রশাসন মুহুর্তে এসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করতে পারে না। তাই বিজিবি ক্যাম্পটি রাখা আমাদের সকল সম্প্রদায়ের প্রাণের দাবি।
ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পটি রাখা অতীব প্রয়োজন। জনসাধারণের জানমালের কথা চিন্তা করে বিজিবি ত্রিশডেবা বিওপি ক্যাম্পটি রাখতে সরকার ও বিজিবির কর্তৃপক্ষকে তিনি অনুরোধ জানান।
নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম বলেন, ক্যাম্প প্রত্যাহারের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। আমাদেরকে যখন যে স্থানে নির্দেশ প্রদান করে আমরা তা পালন করি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.