খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ও শিলা বৃষ্টিতে বসতবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। একই সাথে শুরু হয় শিলাবৃষ্টিও। কালবৈশাখীর ছোবলে কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দীঘিনালা সেনানীবাসের দরবার হল সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। তাছাড়াও সেনা নিবাসের জেসিও মেস, নিরাপত্তা চেক পোষ্টসহ সেনা নিবাস এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ২৮ বীরের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহসিন রেজা পিএসসি জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলার বাবুছছড়া, মেরুং, বোয়ালখালী, দীঘিনালা ও কবাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে মৌসুমী ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি অসংখ্য বসতবাড়ির চালের ঢেউটিন ঝাঁঝরা হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা সদরের পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এলাকার বাসিন্দা লিপি দেওয়ান জানান, শিলাবৃষ্টিতে তার বসতবাড়ির চালের ঢেউটিন ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানিতে বাড়ির আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবারের মত শিলাবৃষ্টি তিনি জীবনেও দেখেননি এবং এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জমান জানান, এবছর যে ভবনটিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল কালবৈশাখীর ছোবলে ভবনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ¦স্ত হওয়া ভবনে ষষ্ঠ শ্রেণির ৮০ জন এবং সপ্তর শ্রেণীর ৭২ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান দেয়া হতো। এখন এ শিক্ষার্থীদের কোথায় পাঠদান দেব তা বুঝতে পারছি না।
বোয়ালখালী ইউপি (সদর) চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা জানান, এ বছর কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিসহ প্রকৃতির বিরুপ প্রভাবে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বরাদ্দ পেলে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিসহ প্রকৃতির বিরুপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ অবদান রাখবে বলে জানান তিনি।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে খাগড়াছড়ির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ.স.ম মাহবুবুল আলম কালবৈশাখীর ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত দীঘিনালা সেনানীবাস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করার জন্য সেনা সদস্য ও দীঘিনালাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.