মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল আলীর ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার রাঙামাটিতে আলোচনা সভা ও জীবনী গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী মিলায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শামসুল আরেফিন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী মুছা মাতববর, সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, শহীদ এম আবদুল আলীর জামাতা এস এম কিউ কবিরুল ইসলাম কাঞ্চন। বক্তব্যে রাখেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন নন্দী। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এম আব্দুল আলীর জীবনী গ্রন্থের লেখক ও সাংবাদিক ইসয়াসিন রানা সোহেল।
এর আগে অতিথিরা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় বীর শহীদ এম আবদুল আলীর জীবনী গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। আলোচনা সভা শেষে শহীদ এম আবদুল আলীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন, শহীদ এম আবদুল আলীর মত মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধার কারণেই আজ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহান বীরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে এ ধরনের প্রকাশনা জরুরী। আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হলে তারা সত্যিকার দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য,মুক্তিযুদ্ধকালীন রাঙামাটির মহকুমা প্রশাসক এম আবদুল আলী মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করতে গিয়ে ১৯৭১ সালে ১৬ এপ্রিল রাঙামাটির ডিসি বাংলো ঘাটে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। দীর্ঘ ১২দিন নির্মম নির্যাতনের পর ২৭ এপ্রিল তার লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দি করে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ভাসিয়ে দেয় পাক সেনারা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.