বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা সহ্য করবে না হবে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার ইউনুসের ঘাড়ে জঙ্গি ভূত চেপে বসেছে। জঙ্গি ভূত ভেতরে ভেতরে ভোটের কথা বলবে কিন্তু ওরা ভোট চাইবে না। ওরা রগকাটাকে বিশ^াস করে। তাই নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা না করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্হা গ্রহন করুন। নির্বাচন দিতে দেরি হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি।
তিনি আনেরা বলেন, পাহাড়ি -বাঙালি আমরা সবাই এক। একরক্ত প্রবাহিত হচ্ছে সবার শরীরে। আগামীতে জনগণের সমর্থন নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বর্ণ যুগের সূচনা হবে। তাই সবাই মিলে আমরা এক সাথে থাকবো। আপনাদের এই পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে উন্নয়ন করা হবে।
দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি রোধ, আইন শৃংখলার উন্নতি,পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার ও দ্রæত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনার দাবিতে সোমবার রাঙামাটিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পতিত শেখ হাসিনা সরকারের ছেলে জয়,বোন রেহেনা ও রেহেনার মেয়ের অনিয়ম দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন তিনি আরো বলেন, পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা পরিবারের বাংলার মাটিতে রাজনৈতিক করার কোন অধিকার নেই। শেখ হাসিনা নাকি দেশে আসবে তাকে আসতে বলেন তবে আসার আগে দেশের সম্পদের হিসাব ও মানুষ খুনের হিসাব দিয়ে দেশে আসতে হবে। হাসিনা দেশে আসার সাথে সাথে তার হাতে,হাত কড়া পড়বেন,সে জেলে যাবেন। বাংলার মাটিতে তার বিচার হবে। সারা দেশে শেখ হাসিনার নির্যাতনে দেশের মানুষ গত ১৭বছরে অতিষ্ট হয়েছিল। মাত্র দুই কোটি টাকার মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে ১২-১৪ বছর জেলে আটকে রেখেছিল খুনি হাসিনা। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে গেছে তাই তাদের ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার রাখে না। বিদেশে বসে হাসিনা বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
জেলা বিএনপির আয়োজনে শহীদ শুক্কর ষ্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল। জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন তালুকদার দীপুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবের রহমান শামীম। বক্তব্যে দেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ (ভিপি হারুন), বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মামুনর রশীদসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। প্রায় ১৭ বছর পর সন্মরণকালে বিএনপির এ জনসভায় জেলার দশ উপজেলার বিএনপির হাজার হাজার পাহাড়ি-বাঙ্গালী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যোগদান করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন,ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে বিএনপি রাজপথ ছেড়ে যাবে না। সংস্কারের নামে নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ জনগন মেনে নেবে না। নেতৃবৃন্দ সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে গণতন্ত্রের উত্তরনে দ্রæত নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনার দাবী জানান।
--হিলবিডি/সম্পাদনা/সিআর.