৭২ এর সংবিধান ধর্মের সাথে ধর্মের, জাতির সাথে জাতির, ধর্মনিরেপক্ষতার সাথে ইসলামের দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রেখেছিল। তাই এসব থেকে জাতিকে মুক্ত করতে নতুন সংবিধান তৈরী করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ৭২ এর সংবিধান এই বৈচিত্রতাকে অস্বিকার করা হয়েছিল বলে সকল জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নতুন সুন্দর রাষ্ট্র গঠনের যে সম্ভাবনা মুক্তিযুদ্ধের সময় পেয়েছিলাম তা আমরা হারিয়েছি। ২০২৪ এর পর যে সম্ভাবনার জন্য যে ঐক্য তৈরী হয়েছে তা আর হারাতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে বসবাসকারী যে-ই হোক না কেন পাহাড়ি হোক কিংবা বাঙালি প্রত্যেক জনগোষ্ঠীই বঞ্চনার শিকার। তাই উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য সকল জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে তোলা অপরিহার্য। সারাদেশে জুলাই পদযাত্রায় খাগড়াছড়ির পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সকল জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি প্রয়োজন। বাংলাদেশকে বহু ভাষা ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যত বেশী বৈচিত্রতাকে ধারন করতে পারবো তত বেশী এগিয়ে যাবো।
দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে সোমবার এনসিপির আয়োজিত খাগড়াছড়িতে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম একথা বলেন।
খাগড়াছড়ি শহরের মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের সংঠক মঞ্জিলা সুলতানা ঝুমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে দেন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক তৈচিং মারমা। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে শহরের চেঙ্গী স্কয়ারে পৌছানোর পর স্থানীয় এনসিপির নেতৃবৃন্দ তাদের স্বাগত জানান। পরে শহরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে মহাজন পাড়া, নারকিলে বাগান হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আদালত চত্বর হয়ে শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহত সকলের জন্য দোয়া মাহফিল করা হয়। সমাবেশে এসনিপির নেতৃবৃন্দ ফেনীর উদ্দেশ্য রওনা দেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও অতিরিক্ত এপিবিএন মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবেশে জেলার ৯টি উপজেলা থেকে আগত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.