পার্বত্য চট্টগ্রামে জীববৈচিত্র্য পুনঃস্থাপন ও সম্প্রদায়ের বাস্তুতন্ত্রে সংরক্ষনে ১২০কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কানাডিয়ান রসরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার ও জাতি সংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রদায়ের সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জীববৈচিত্র্য প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার প্রকল্প(ইআরআরডিসিএইচটি) নামে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত জীববৈচিত্র্য নিয়ে গণমাধ্যমে সাথে আলোচনা সভায় এ তথ্যে জানানো হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার। অন্যান্যর মধ্য বক্তব্যে দেন জেলা পরিষদ সদস্য নাউপ্রু মারমা, জেলা পরিষদের কনসাল্টেন্ট অরুনেন্দু ত্রিপুরা, ইউএনডিপির কর্মকর্তা বিহিত বিধান খীসাসহ অন্যরা। এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা প্রকল্পের বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
আলোচনা সভায় বলা হয়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে পাহাড়ে ১৫০টি বন্য প্রাণী আবাসস্থল চিহিৃত করে ৪৫০টি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা, বন্য প্রাণী চলাচলের করিডোর সৃষ্টি, ঝর্না ও পানি উৎসের পুনরুদ্ধার,পানি সংরক্ষণে প্রযুক্তি স্থাপন, পানি সংরক্ষণ ও মাটি ক্ষয় রোধে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় ইকো ট্যুরিজম পাইলট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা, মানুষ ও বন্য প্রাণীর দ্বন্ধ নিরসন, প্রকল্পের প্রাকৃতিক নির্ভর ১৩ হাজার ৫শ পরিবারকে বিকল্প আয়ের সহায়তা প্রদান, বসতভিটা, ঝিরি ঝর্না ও ছড়া এলাকায় স্থানীয় বিলুপ্তি প্রায় প্রজাতির ২লাখ ২৫ হাজার বৃক্ষরোপণ, গ্রামীণ সাধারণ বনের সক্ষমতার উন্নয়নে সহায়তা, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্ররোধে সহায়তা, বন্য প্রাণী উদ্ধার টিম গঠন, নারীদের ক্ষমতায়ন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিষয়ক সচেতনা কার্যক্রম সহ ইত্যাদি উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্বির পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি বিশেষ করে দরিদ্র ও ঝুকিপুর্ন নারী ও মেয়েদের সক্ষমতা অর্জন হবে। যা কুনমিং-মন্ট্রিয়াল গ্লোবাল জীববৈচিত্র্য কাঠামোর লক্ষ্য অর্জনের সাহায্য করবে বলে আলোচনা সভায় বলা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.