লো-ভল্টেজ আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন জুরাছড়ি উপজেলাবাসী। বিদুতের সরবরাহ লাইনে ত্রুটির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা।
উপজেলার একাধিক বাসিন্দা জানান, ২০ জুন থেকে মিথ্যা অজুহাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও উপজেলায় দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ মিলছে। এরই মধ্যে লো-ভল্টেজ আর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে নাজেহাল উপজেলাবাসী। পিডিবি বলছে দিনে-রাতে গড়ে চার ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। তবে বাসিন্দারা বলছেন ভিন্ন কথা।
উপজেলা সদরের খাদ্যগুদাম সংলগ্ন গৃহিনী অনুকা চাকমা বলেন, মাস দুয়েক ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। সামান্য ঝড়ো-হাওয়া বা বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ চলে যায়। ২০ জুন থেকে এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সুনেন্দু কুমার চাকমা বলেন, লো-ভল্টেজ, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ও সাপ্তহ ধরে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন কারণে ব্যাংকিং কার্য্যক্রম সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে । জুন মাসের বিভিন্ন বিল পরিশোধে সমস্যা পড়তে হচ্ছে।
বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ও মিথ্যা অজুহাতে সাপ্তহ ধরে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন কারণে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ মূল্যবান ইলেক্ট্রেনিক জিনিস নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে পিডিবির উদ্ধোধন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জুরাছড়ি উপজেলার পিডিবির একমাত্র স্টাফ টেকনেশিয়ন জ্ঞান রতন চাকমা বলেন, উপজেলা জুড়ে পিডিবির টেকনিশিয়ন একমাত্র তিনি রয়েছেন। পাহাড়-জঙ্গল ঘুরে ঘুরে লাইনের ফল্ট খুজতে হচ্ছে। এককভাবে চেষ্টা চালিয়ে যতটুকু সম্ভব সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি দ্রুত পর্যপ্ত জনবলেরও দাবি জানান।
রাঙামাটি পিডিবির উপসহকারী প্রকৌশলী শিংলা গ্রু মারমা জানান, বিলাইছড়ি-কাপ্তাই মধ্যেবত্তি স্থানে পাহাড় ধসে বিদ্যুৎ খুটি পড়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাহাড়ী এলাকায় একটু ঝড়ো-হাওয়া হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে গাছের ঢাল ভেঙ্গে পড়ে। এ ফল্টের কারণে ট্্রান্সফরমারের এইচটি ফিউজ পুড়ে যাচ্ছে। যতবার ওই ফিউজ পুড়ে, ততবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। এছাড়া বিলইছড়ি ও জুরাছড়িতে পিডিবির পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় এ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.