রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া শিশু ও নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিশুদের শুধু বিদ্যালয়ে ভর্তি করলে হবে না, তাদের ঝড়ে পড়া রোধ করতে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
সোমবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প (আইসিডিপি)-৩য় পর্যায় এর প্রকল্প সম্পর্কে অবহিতকরণ ও জেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সভায় আইসিডিপি প্রকল্পের জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিন্টু বিকাশ চাকমার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের ডিডিএলজি মোঃ মাজেদুর রহমান। সভায় আইসিডিপি প্রকল্পের প্রশাসন ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জানে-ই আলম সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে আইসিডিপি প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এসময় জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেবুন্নেসা রহিম, ত্রিদিব কান্তি দাশ, সাধনমনি চাকমা,ইউনিসেফের মংক্রাই মারমাসহ পরিষদের কর্মকর্তারা, ’সহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা, শিশু একাডেমী, সমাজ সেবা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আইসিডিপি প্রকল্পের প্রশাসন ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জানে-ই আলম তার প্রতিবেদন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ৩৪৫৭টি গ্রামের ১লক্ষ ৬০হাজার পরিবারকে মৌলিক সেবা প্রদানের সাথে সম্পৃক্ত করণের লক্ষ্যে ওয়ান ষ্টপ সেবা বিতরণ কেন্দ্র হিসেবে ৪ হাজারটি পাড়া কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রের মাধ্যমে একজন প্রশিক্ষিত পাড়াকর্মী ২ থেকে ৫বছর বয়সের প্রকল্পভুক্ত ১লক্ষ ৫২হাজার শিশুদের দু বছর পর্যন্ত শিক্ষা দান, শিশু মহিলাদের টিকা গ্রহণ, শিশুদের প্রাক-শৈশব যত্ন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, বিশুদ্ধ পানি পান, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার, জন্ম নিবন্ধন, শিশুর শারিরীক শাস্তি নিরোধ, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি সচেতনতামূলক কাজ সম্পাদন করছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা আরও বলেন, শিক্ষাকদের সঠিকভাবে মনিটরিং এর মাধ্যমে স্কুল পরিচালনার পাশাপাশি আগামীতে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সাথে সমন্বয় রেখে আইসিডিপি’র পরবর্র্তী কাজ পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ইউনিসেফের সহায়তায় সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মা ও শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে যে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামীতে পাহাড়ের প্রতিটি শিশু যেন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে সরকারের পাশাপাশি আইসিডিপির অধীনে এসে শিক্ষা গ্রহণ করে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.