পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুর্ণ বাস্তবায়ন করা হবে।
এ ব্যপারে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক। সংঘাতের মাধ্যমে কোন বিষয়ের সমাধান সম্ভব নয়,বরং সংঘাতে সংঘাত বাড়ে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যে কোন বিষয়ের সমাধান সম্ভব।
শনিবার বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় ফায়ার ষ্টেশনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রোয়াংছড়ির উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভিত্তি প্রস্তর ও মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী,পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ হোসেন, ফায়ার ব্রিগেডের উপ পরিচালক সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসান উল্লাহ, রোয়াংছড়ি আর্মি কেম্পের অধিনায়ক মেজর আবদুল্লাহ মামুন।
এসময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হ্লাথোয়াইহ্রী মার্মা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক চহ্লামং মার্মা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান চাহ্লামং, আলেক্ষং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভা শেষে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাউসাং মার্মার নেতৃত্বে শতাধিক বিএনপির নেতা-কর্মী বীর বাহাদুরের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছর সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তির অধিকাংশ বিষয় বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকি শর্ত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন,বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সবসময় আন্তরিক। ইতোমধ্যে পার্বত্য এলাকার যোগাযোগ,শিক্ষা,বিদ্যুতের অভুত পুর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতে আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষিত জাতি ছাড়া কখনো দেশ বা সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ তিনি আরও বলেন, একারনে পার্বত্য এলাকার শিক্ষা নিয়ে সরকার আন্তরিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সরকারের গৃহিত কার্যক্রমকে বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি,সরকারী কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বান্দরবানের প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার ব্রিগেড স্থাপনের জন্য তিনি সংকল্প ব্যক্ত করেেিলন। তাই ইতোমধ্যে লামা উপজেলায় ফায়ার ষ্টেশনের উদ্বোধন করা হয়েছে। আলীকদম উপজেলা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলার কাজ অতি দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন আগামীতে অন্যান্য উপজেলাতেও ফায়ার ষ্টেশন স্থাপনের কাজ হবে আশ্বাস দেন।
তিনি রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে জায়গা নির্ধারন করলে রোয়াংছড়িতে একটি উন্নতমানের বাস টার্মিনাল ও একটি টাউন হল প্রতিষ্ঠার যত খরচের প্রয়োজন হয় তা তিনি করে দেবেন। এ ব্যপারে তাকে অবহিত করার জন্য উপজেলা চেযারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.