• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
রাঙামাটিতে সাংবাদিকদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন                    পাহাড়ে শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা                    ঋতুপর্ণা চাকমার মায়ের চিকিৎসার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের আর্থিক অনুদান প্রদান                    উক্যছাইং-কে চোখের জলে শেষ বিদায় জানাল মাবাবা,স্বজন ও পাড়বাসীরা                    বিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের স্বরণে রাঙামাটিতে ৩২টি গাছের চারা রোপণ                    নিহত মাইলষ্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী উক্যছাইং মারমার নিথর মরদেহ রাঙামাটিতে পৌছেছে                    ৭২ এর সংবিধান ধর্মের সাথে ধর্মের, জাতির সাথে জাতির সাথে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রেখেছিল -নাহিদ ইসলাম                    এনসিপির সভার কারণে যানবাহন চলাচলে বন্ধে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ                    মুজিববাদী সংবিধানকে বাতিল করে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরী করতে হবে                    পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা রয়েছে-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা                    অপহরণের আট দিন পর কাউখালীতে পোলট্রি খামারী মামুনের বস্তাবন্দি দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার                    পার্বত্য চুক্তির পর সেনাবাহিনী নিরবিচ্ছিন্নভাবে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে                    নানান আয়োজনে রাবিপ্রবির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন                    বান্দরবানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের দু’জনসহ ৩ ম্রো নারীর মৃত্যু                    রাঙামাটিতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু                    হত্যা, চাঁদাবাজি, হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ-সমাবেশ                    রাঙামাটিতে এসএসসিতে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে                    ঋতুপর্নার চাকমার মাকে ক্যান্সার চিকিৎসায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের তিন লক্ষ টাকা সহায়তা                    ১৭ বছর ধরে উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজির করা হয়েছে-রুহুল কবীর রিজভি                    রাবিপ্রবি’তে জুলাই বিপ্লবের স্মরণে র‌্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠিত                    পার্বত্য চট্টগ্রামে ছয় মাসে ১০৩টি মানবধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে                    
 
ads

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮ বছর:স্থানীয় জনগণের অধিকার ও বাস্তবতা-শীর্ষক আলোচনা সভায়
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সময়সূচী ভিত্তিক রোডম্যাপ ঘোষনা করে এগুনোর কোন বিকল্প নেই-ড.গওহর রিজভী

ডেস্ক রিপোর্ট : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 29 Nov 2015   Sunday

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচী ভিত্তিক রোডম্যাপ ঘোষনা করে এগুনোর কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন।

 

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ আলোচনা করবেন বলে উল্লেখ করে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সাথে দ্রুত যোগাযোগের জন্য ঢাকায় একটি স্থায়ী লিয়াজো অফিস করার পরামর্শ দেন। 

 

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি এটা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। তবে চুক্তির ধারা বাস্তবায়নের সংখ্যা হিসাব না করে বস্তুনিষ্ঠভাবে চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটাই মূল বিষয়। বিদেশীদের পাহাড়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়রে কোন নির্দেশনা নেই। তবে জেলা প্রশাসনদের জানাতে হয়। কারণ তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জরুরী।


রোববার ঢাকায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮ বছর: স্থানীয় জনগণের অধিকার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দি ডেইলি স্টার ভবনের এ এস মাহমুদ সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।

 

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, চাকমা সার্কেলের চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, সাবেক তথ্য কমিশনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মঙ্গল কুমার চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা।


মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোহাম্মদ আলী, মুক্তাশ্রী চাকমা সাথী, রোজলিন কস্তা, ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, ড. ওবায়দুল হক প্রমুখ।


সভাপতির বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বহুবিধ প্রশাসন ও কর্তৃত্ব চলছে যেটাকে এককথায় অরাজকতা বলা যেতে পারে। সেখানে কোন শৃঙ্খলা নেই। সেখানকার কোন মানুষের নিরাপত্তা নেই। এমনকি তিরি নিজেই নিরাপদ নই। পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো কিছুটা বাস্তবায়িত হলে হয়তো কিছুটা শান্তিতে থাকতাম। কিন্তু কবে এমন পরিস্থিতি আসবে তা জানি না।

 

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি বিষয়ে সরকারের অনেক কর্তাব্যক্তি, নীতিনির্ধারক মহলের অনেকজন এবং অনেক সংগঠনের অনেক ব্যক্তিরা প্রায় সময়ই খুবই দৃঢ়ভাবে ব্ক্তব্য ও অঙ্গীকার দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেন তাহলে গত ১৮ বছর ধরে চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হয়নি। এই বিষয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকেরা সচেতন নয় এটাও বলবো না, কিন্তু তাদের আদর্শ কি? সেটা বিবেচ্য বিষয়।

 

পার্বত্য চুক্তির ব্যাপারে নীতি নির্ধারকেরা উগ্র জাতীয়তা, সম্প্রদায়িক, প্রগতি বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত ক্রীয়াশীল হওয়ার কারনে আজও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে ১লা এপ্রিল চুক্তির কোন কোন বিষয় বাস্তবায়িত হয়েছে সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটির কোন পুনরুত্তর পায়নি। চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটিকে আরও কার্যকর করার আহ্বান জানান তিনি।


প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, চুক্তি করে চুক্তি প্রতিপালন না করা কোন সভ্যতা নয়। যদি এরকমটি করা হয় তবে সেটি হবে লজ্জার বিষয়। আমি মনে করি ভূমি মালিকানার সমস্যাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের এক নম্বর সমস্যা।


এছাড়াও পাহাড়ী-বাঙ্গালি সম্প্রীতি, পাহাড়ী নারীদের প্রতি সহিংসতা; পাহাড়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির হার, ব্যবসার মালিকানা বাঙ্গালিদের হাতে চলে যাওয়া বিষয়গুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

 

তিনি আরও বলেন, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে তিনটি সরকার ব্যবস্থা চালু আছে। একটি সন্তু লারমার সরকার, দ্বিতীয়টি সামরিক সরকার এবং তৃতীয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ অবিলম্বে প্রয়োজন।


তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। শক্তি দিয়ে বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কোথাও কোন শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। পাহাড়ে সামরিক শাসন বন্ধ করে সকলকে নিয়ে মেলবন্ধন কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।

 

চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী মানুষের প্রতি হিংসামূলক বা বৈষম্যমূলক আচরণ বজায় আছে। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন কার্যত কোন কাজ করছে না?

 

পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী যে টাস্কফোর্স হয়েছে তাতে ভারত প্রত্যাগতদের কিছুটা পুনর্বাসন করা হলেও অভ্যন্তরীন উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের কোন উদ্যোগই হয়নি। তাদের একটু পরিমাণ জলও দেওয়া হয়নি।


তিনি পার্বত্য চুক্তির মূল বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার দাবি করে পাহাড়ের অনাকাঙ্খিত যেে কান ঘটনা এড়ানোর জন্য মিশ্র পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

 

প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য অঞ্চলে যে চুক্তি হয়েছে তার মাধ্যমে সেখানকার মানুষদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দেওয়া হয়েছে।

 

কিন্তু বস্তুনিষ্ঠভাবে কতটুকু শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা আজ আমরা দেখছি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন দিয়ে শুধু আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে কিন্তু তাদের রাজনৈতিক অধিকারের বিষয়গুলোই অধিক জরুরী।


পঞ্চদশ সংশোধনীতে আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানে দেশের নাগরিককে বাঙ্গালিকরণের যে কথা বলা হয়েছে আবার অপরদিকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী স্বীকৃতির ব্যাপারটি একধরনের দ্বৈততা প্রকাশ করছে।

 

ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে পার্বত্যবাসীদের জীবন জড়িত তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

মূল প্রবন্ধে মঙ্গল কুমার চাকমা বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে সরকার দাবি করলেও সত্যিকার অর্থে চুক্তির দুই-তৃতীয়াংশ ধারা এখনো অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে।

 

পার্বত্য চুক্তির অবাস্তবায়িত মৌলিক বিষয়সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ এবং এজন্য আইনী ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা; পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন বিষয় ও কার্যাবলী হস্তান্তর ও কার্যকরকরণ এবং এসব পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিতকরণ; এক্ষেত্রে নির্বাচন বিধিমালা ও ভোটার তালিকা বিধিমালা প্রণয়ন করা; ভূমি কমিশনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করা; তজ্জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১-এর বিরোধাত্মক ধারা সংশোধন করাসহ ইত্যাদি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ