পাহাড়ে শিশুদের গুণগতমানের শিক্ষা,পুষ্টি এবং গর্ভবতী ও কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষে বৃহস্পতিবার দিন ব্যাপী রাঙামাটিতে পার্বত্য জেলা শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় ওমেনস এডুকেশন ফর এডভান্সম্যান্ট এন্ড এমপাওয়ামেন্ট(উইভ) ও দাবিদাং এর বাস্তবায়নে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ হল রুমে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক পরিষদের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা (উন্নয়ন, ভূমি ও আইন) সুইচিং মং মারমা। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উইভ এর নির্বাহী পরিচালক ও জেলা পরিষদ সদস্য নাউপ্রু মারমা মেরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ম্যানেজার অব পার্টনারশীপ পূর্নদান মধু, আগাপে নির্বাহী পরিচালক জয় বাহাদুর ত্রিপুরা, রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভিন, লংগদু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসিম রহমান, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সূবর্ণা দে, কাবিদাং এর নির্বাহী কর্মকর্তা লালসা চাকমা। কর্মশালায় প্রকল্পের সম্পর্কে অবহিরণ করেন উইভের প্রকল্প সমন্বয়কারী অমূল্যধন চাকমা। কর্মশালায় কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, কাবিদাং, উইভের কর্মকর্তারা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বলা হয়, তিন বছর মেয়াদী উইভের বাস্তবায়নে রাঙামাটির বিলাইছড়ি ও লংগদুতে এবং খাগড়াছড়ির কাবিদাং এর বাস্তবায়নে শিশুদের শিক্ষা ও পুষ্টির গুনগতমান বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করবে। তাছাড়া দরিদ্র নারীদের টেকসই জীবিকা নির্বাহে আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করা এ প্রকল্পের মাধ্যমে। তাছাড়া এ প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের কৃষি ও প্রাণী সম্পদের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা হল ১৭টি পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য যা ২০৩০ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৪ নম্বর লক্ষ্যমাত্রায় গুনমানের শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। তবে গুনগতমানের শিক্ষা একটি বিশাল বিষয়। তবে সারাদেশে এখনো গুনগতমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারিনি। আর পাহাড়ে অবস্থা ভয়াবহ, শিক্ষা নিশ্চিত হয়নি। সেজন্য সবাইকে ভাবতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রকল্প এলাকায় সঠিকভাবে সুবিধাভোগীদের বাছাই করে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। এ প্রকল্পে কাজ করতে গেলে এখানকার আদিবাসী বা স্থানীয়দের জ্ঞানকে ব্যবহার করে কাজে লাগাতে হবে। তিনি আঞ্চলিক পরিষদ থেকে প্রকল্পের সহযোগিতারও আশ^াস দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.