মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরোফিন, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ছাদেক আহমদ, সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, সাধন মনি চাকমা, সবির কুমার চাকমা, জেবুন্নেসা রহিম, সান্তনা চাকমা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার রবার্ট রোলান্ড পিন্টু, ডেপুটি কমান্ডার মোঃ ইকবাল হোসন, মুক্তিযোদ্ধা গাজী মসলে উদ্দিন।
অনুষ্ঠান শেষে জেলার ৯০জন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন করতে যেভাবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিল তেমনি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হানিসার রুপকল্প ২০৪২ সালে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর প্রথমেই মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারদের বিষয়ের কথা চিন্তা করে তাদের সম্মানি বৃদ্ধি করেছে যা অন্য কোন সরকার করেনি। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আরো এগিয়ে যাবে। দেশেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সু-পরামর্শের প্রয়োজন।
তিনি নতুন প্রজন্মদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রদান করতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্ত্যবে জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৈমত্ব দেশ পেয়েছি একটি মানচিত্র পেয়েছি। তাদের সমসময় আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তুরিকতায় দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে। অর্থনৈতিক আয় বৃদ্ধি বেড়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো একধাপ উন্নতি হচ্ছে। সরকারের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
সভাপতির বক্ত্যবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের গর্বিত সন্তান। তাদের প্রতি সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য। তারা যদি দেশ স্বাধীন করতো না আমরা আজ যার যার অবস্থানে থাকতাম না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.