• Hillbd newsletter page
  • Hillbd rss page
  • Hillbd twitter page
  • Hillbd facebook page
সর্বশেষ
অপহরণের আট দিন পর কাউখালীতে পোলট্রি খামারী মামুনের বস্তাবন্দি দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার                    পার্বত্য চুক্তির পর সেনাবাহিনী নিরবিচ্ছিন্নভাবে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে                    নানান আয়োজনে রাবিপ্রবির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন                    বান্দরবানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের দু’জনসহ ৩ ম্রো নারীর মৃত্যু                    রাঙামাটিতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু                    হত্যা, চাঁদাবাজি, হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ-সমাবেশ                    রাঙামাটিতে এসএসসিতে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে                    ঋতুপর্নার চাকমার মাকে ক্যান্সার চিকিৎসায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের তিন লক্ষ টাকা সহায়তা                    ১৭ বছর ধরে উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজির করা হয়েছে-রুহুল কবীর রিজভি                    রাবিপ্রবি’তে জুলাই বিপ্লবের স্মরণে র‌্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠিত                    পার্বত্য চট্টগ্রামে ছয় মাসে ১০৩টি মানবধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে                    কাপ্তাইয়ে সাতটি দোকান পুড়ে ছাই                    জুরাছড়িতে এসডিজির স্থানীয়করণ এবং ত্বরানিত লক্ষে কর্মশালা                    আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সাম্বার হরিণটিকে বাঁচানো গেল না                    রাঙামাটিতে সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি’র রিজেন্ট বোর্ডের ৭ম সভা অনুষ্ঠিত                    রাবিপ্রবি`র নির্মানাধীন দুটি ভবন থেকে চাঁদার দাবিতে দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র মহড়া                    রাঙামাটি জেলা পরিষদে নিয়োগ ও শিক্ষা বৃত্তিতে বৈষম্য বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন                    রাঙামাটিতে এইচএসসির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক                    বিলাইছড়িতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন                    রাবিপ্রবি’তে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২তম সভা অনুষ্ঠিত                    
 
ads

সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বসছে পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স-এর সভা
১৮ বছরেও ভাগ্য বদলায়নি ৫৬ হাজার স্বেচ্ছায় প্রত্যাগত পাহাড়ী শরণার্থীর

বিশেষ প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি : হিলবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 07 Feb 2016   Sunday

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮ বছর অতিবাহিত হলেও স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত পাহাড়ী শরণার্থীদের আজো ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি।

 

ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের সমপরিমাণ সুযোগ সুবিধা দেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও শরণার্থীদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় স্বেচ্ছায় প্রত্যাগত ১৪হাজার ৪শ ৬৭টি পরিবারের ৫৬ হাজার ৮’শ ৫৪ জন পাহাড়ি শরণার্থী এ থেকে বঞ্চিত।

 

এ অবস্থায় সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স-এর সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

 

জানা গেছে, সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব মো: রুহুল আমীনসহ টাস্ক ফোর্সের কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের প্রতি আস্থা রেখে স্বদেশে ফিরে আসার দীর্ঘবছর পরও এ পাহাড়ী শরণার্থী পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন না করায় বর্তমানে দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করছেন এসব অসহায় পরিবারের লোকজন।

 

শরণার্থী হিসেবে সব ধরনের কাগজপত্র থাকার পরও কি কারণে তাদের পুনর্বাসন করা হয়নি তাও খতিয়ে দেখার যেন কেউই নেই। তবে ইতোমধ্যে একইভাবে স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের মধ্য থেকে ৩৭০ পরিবারকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হলেও বাকিরা এখনো আশায় আশায় দিন পার করছে। এর মধ্যে অনেকেই আশা নিয়ে একাল ছেড়ে সেকালেও চলে গেছেন।

 

একাধিক সূত্রে জানায়,১৯৮৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল ৫৬ হাজার শরণার্থী পরিবার। পরে শিবিরে খাদ্য সংকটসহ নানা সমস্যার কারণে তারা স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর প্রথম ৬ মাস তাদের সরকারিভাবে ফ্রি রেশনিং সুবিধা দেওয়া হয়।

 

কিন্তু পরে সরকার ও শরণার্থী কল্যাণ সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তাদেরকে আওতাভুক্ত করা হয়নি। অথচ একইভাবে স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত ৩৭০ শরণার্থী পরিবারকে ২০দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় দীঘিনালা উপজেলার ১নং মেরুং ইউনিয়নে ১৭পরিবার, ২নং বোয়ালখালি ইউনিয়নে ৭৫পরিবার, ৩নং কবাখালীতে ৬৯ পরিবার, ৪নং দিঘীনালা ইউনিয়নে ১’শ ৫ পরিবার ও ৫নং বাবু ছড়া ইউনিয়নে ১’শ ৪পরিবারকে বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন করা হয়।

 

এদিকে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দীঘিনালা উপজেলার কাঁঠালতলী আবাসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রিত ২৬টি শরণার্থী পরিবারকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারত প্রত্যাগত পাহাড়ি শরণার্থীদের সর্বশেষ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও  থেমে নেয় দাবী পূরণ ও পুনর্বাসন আন্দোলন এবং টাস্কফোর্সের নিয়মিত বৈঠক।

 

সূত্র মতে, এসব পরিবারকে ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় সরকারি ভাবে ফেরত আসা শরনার্থীদের ন্যায় স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগতদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর স্মারক নং-২০৪১ (ক) মূলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সুপারিশ প্রেরণ করেছিলেন বর্তমান টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা। দীর্ঘ বছর পার হলেও সরকার এ বিষয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হতাশায় রয়েছেন এসব পরিবারগুলো।

 

২০১৩ সালের ১ডিসেম্বর জেলার দীঘিনালা উপজেলার বড়াদাম মাঠে শরণার্থী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বৃহত্তর মানববন্ধন ও ৫দফা দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ। একই দিনে জেলা শহরের শিবমন্দির এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এসব বঞ্চিত পাহাড়িরা। ২০১৪ সালের ২২জুনও একই দাবীতে জেলা শহরের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচি।

 

একই বছরের ২১ নভেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউসে সেই সময়ের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আবদুল্লাহ’র সাথে ৮দফা দাবীর পুনর্বাসন সংক্রান্তে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন শরনার্থী কল্যান সমিতির একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের দাবী-দাওয়ার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ এসব বঞ্চিত স্বেচ্ছায় প্রত্যাগত শরনার্থীদের বিদ্যমান সমস্যার বার্তা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 

 

স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত বঞ্চিত শরণার্থী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খগেশ্বর ত্রিপুরা জানান,বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি পাঠিয়ে এবং রেডিও-টিভির মাধ্যমে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য বারবার তাগিদ এবং পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কারনে সরকারের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস পোষন করে যারা স্বদেশে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন করেছেন তাদেরকে ৬ মাসের রেশন এবং দেড় হাজার টাকা ছাড়া আজো পুনর্বাসন না করা দু:খজনক।

 

সোমবার টাস্কফোর্স সভায় বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে স্বেচ্ছায় প্রত্যাগত শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সুরাহা আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

সংগঠনের সহ-সভাপতি সতীশ চন্দ্র চাকমা বলেন, দীর্ঘবছর এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম, আলোচনা চললেও বঞ্চিত এসব মানুষদের পুনর্বাসন আজো সরকার করেনি। তিনি অবিলম্বে পুনর্বাসন করা না হলে কঠোর আন্দোলন ঘোষনা আসতে পারে ইঙ্গিত দেন।

 

সংগঠনের অপর সহ-সভাপতি শতরূপা চাকমা  স্বেচ্ছায় ভারত প্রত্যাগত শরনার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

 

এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে টাস্কফোর্সের নিয়মিত বৈঠকের বিভিন্ন  বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

 

বঞ্চিত এই পরিবারগুলোর শরণার্থী হিসেবে সব ধরনের কাগজপত্র রয়েছে দাবী করে তিনি আরও বলেন, সমন্বয়হীনতা ও ভূমি কমিশন কার্যকর না হওয়ার কারনেই সমস্যাটি এখনো বিদ্যমান রয়েছে। তিনি এ সরকারের আমলেই ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় বঞ্চিত শরণার্থী পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন সম্পন্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

 

উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ১০ সদস্য বিশিষ্ট এই টাস্কফোর্সে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার সদস্য সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, তিন পার্বত্য জেলার প্রতিনিধি,২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিনিধি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও প্রত্যাগত শরণার্থীদের একজন করে প্রতিনিধি ও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

 

ads
ads
এই বিভাগের সর্বশেষ
আর্কাইভ