আওয়ামীয়ামী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পাহাড়ের মানুষকে আর ঠেকানো যাবে না। পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর অস্ত্রে এখন মরিচা ধরতে শুরু করেছে। তারা বুঝে গেছে অস্ত্র দিয়ে আর অধিকার আদায় করা সম্ভব নয়।
পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন গুলো নতুন ভাবে খেলা শুরু করেছে। এখন তারা ধর্মীয় গুরুদের প্রতিচ্ছবি ব্যবহার করে নানা দোহায় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে। তিনি এই সকল মুখোশধারী নেতাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত করে এই প্রমান দিয়েছে পাহাড়ের মানুষ।
মঙ্গলবার রাঙামাটির উপজেলার ৩নং ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিলাইছড়ি ফারুয়া বাজার প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিলাইছড়ি বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যারল চাকমা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল মাওলা, সদস্য জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মার্মা, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যাসহ স্থানীয় নের্তৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
পরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিলাইছড়ি উপজেলাধীন তিনকুনিয়া কমিউনিটি সেন্টার ও বিলাইছড়ি রেষ্ট হাউজ ভবন উদ্বোধন করেন।
সভায় দীপংকর তালুকদার বলেন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র নেতারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষকে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ প্রায় দুই বৎসর ১১মাস অতিবাহিত হলেও সেইসব প্রতিশ্রতিগুলো তারা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে জানানে কিন্তু কোন উন্নয়ন ও জনগনের উপকার করতে জানে না।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগে সরকার জনগনের সরকার। জনগনের কথা চিন্তা করে এই সরকার জগেনর মৌলিক চাহিদা গুলো বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারে এই উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। প্রতিটি মসজিদ, মন্দির, হাসপাতাল, স্কুল নির্মাণ কাজে তারা চাঁদা আদায় করছে। তাদের কারণে ঠিকাদারা আজ কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, সরকারের এই উন্নয়ন ধরাকে অব্যাহত রাখতে আগামী ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে রাঙামাটি আসনটিকে জননেত্রী শেখ হাসিনাার হাতে তুলে দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.