পার্বত্যবাসীর প্রবল আপত্তির সত্বেও জাতীয় সংসদে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ(সংশোধন) আইন বিল উত্থাপন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত জেলা পরিষদের বিল প্রত্যাহার করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচনের দাবি জানোনো হয়েছে। অন্যথায় যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলে হুশিয়ারী উচ্চাররণ করেছে। মঙ্গলবার জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এ দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, ২৯৯নং সংসদীয় রাঙামাটির আসনের সাংসদ ঊষাতন তালুকদারসহ পার্বত্যবাসী তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ(সংশোধন) আইন বিলের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি করে আসছিল। কিন্তু গত সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য-সংখ্যা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে তিন পার্বত্য জেলা(রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) পরিষদ(সংশোধন) আইন ২০১৪ উত্থাপন করা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শক্তিশালী ও গতিশীল পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন, পরিষদে সকল জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ, সর্বোপরি জনমুখী, জবাবদিহিমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত পার্বত্য জেলা পরিষদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ৩৪ সদস্য-বিশিষ্ট নির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ পার্বত্য জেলা পরিষদের কোন বিকল্প নেই। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী পার্বত্য জেলা পরিষদের আকার যতই বাড়ানো হোক না কেন তাতে করে কখনোই শক্তিশালী, গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক পার্বত্য জেলা পরিষদ গড়ে উঠতে পারে না বা সকল জুম্ম জাতিগোষ্ঠীর প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে পারবে না। বিবৃতিতে বিগত ২২ বছর ধরে সরকার এ পরিষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি উল্লেখ অবিলম্বে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন সংশোধন প্রত্যাহার করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচন বিধিমালা ও ভোটার তালিকা বিধিমালা প্রণয়ন করার দাবি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৫ থেকে ১১ সদস্যে বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গত ১ জুলাই ২০১৪ এ তিনটি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.